ডেস্ক নিউজ :পৃথিবীর ওপর নির্ভরশীল না হয়েই ২০৩০ সাল থেকে মঙ্গল গ্রহে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে মানুষ বসবাস ও কাজ করতে পারবে। আর মাত্র ১৫ বছর পরই হয়ত সেটি সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এমন ঘোষণা দিয়েছে।

লাল গ্রহটিতে মানুষের স্থায়ী বসতি স্থাপন বিষয়ে বৃহস্পতিবার নাসা তাদের পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করে। জার্নি টু মার্স নামের একটি প্রতিবেদনে নাসা জানায় এটি হবে ঐতিহাসিকভাবে এক অগ্রণী প্রচেষ্টা। আমেরিকায় মানুষের প্রথম দিকের বসতি স্থাপন এবং চাঁদে মানুষের প্রথম পা ফেলার সঙ্গে এ প্রচেষ্টাকে তুলনা করে নাসা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপোলো কর্মসূচির (চাঁদে অবতরণ করা নভোযান) মতো আমরা মনুষ্য প্রজাতির জন্য এই যাত্রায় নিযুক্ত হচ্ছি। যা অ্যাপোলোর মতো নয়, তা হচ্ছে আমরা সেখানে থাকতে যাচ্ছি। নাসা বলে, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে আমরা পৃথিবীর বাইরে মানুষের উপস্থিতি ঘটানোর পথে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আমরা চাই মানুষ সেখানে কাজ করতে সমর্থ হবে, পরিচালনা জানবে এবং পৃথিবীর বাইরে দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থিতিশীলভাবে বাস করতে পারবে। মঙ্গলে যেতে কয়েক মাস সময় লাগবে এবং তাড়াতাড়ি ফিরে আসাটা আমাদের জন্য কোনো বিকল্প নয়।

এতে বলা হয়, আজকে ও পরবর্তী দশকে যে প্রচেষ্টা নেওয়া হবে, তা গভীর মহাশূন্যে পৃথিবীর নির্ভরশীলতামুক্ত স্থিতিশীল উপস্থিতির ভিত্তি গড়ে দেবে। মহাশূন্যে বাস ও কাজ করতে ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে নাসা। মঙ্গলের বসবাসের প্রক্রিয়াকে তিন ধাপে ভাগ করেছে নাসা। এগুলো হলোথ পৃথিবী নির্ভরশীলতা, প্রতিপাদন স্থল এবং পৃথিবী নির্ভরশীলতা মুক্তি।

সূত্র: এএফপি ও টেলিগ্রাফ

(ওএস/এসসি/অক্টোবর১০,২০১৫)