ঠাকুরগাও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ব্যাপকহারে বেড়ে চলেছে বাল্যবিবাহ এক কথায় মহোৎসব চলছে।

সম্প্রতি সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সংসদ সদস্যা অধ্যাপিকা মোছাঃ সেলিনা জাহান লিটা লক্ষিরহাট নামক স্থানে ২৭ সেপ্টেম্বর মত বিনিময় সভায় বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন।

অথচ পরের দিন আনসারডাঙ্গী গ্রামের উজির আলীর ছেলে মাসুদ রানার (১৭) সাথে মধ্য মন্ডলপাড়া গ্রামের আমানের আনন্দ স্কুল পড়ুয়া মেয়ে উম্মে হান্নী ওরফে শুকরী (১১)র বিয়ে মুন্সী দ্বারা পড়ানো হয়।

এ বিয়ে বন্ধের ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ সুকুমার মোহন্ত অভিভাবককে অবহিত করলেও গোপনে এ কাজটি তারা করে ফেলে। এ ছাড়া ৯ অক্টোবর শুক্রবার আনসারডাঙ্গী গ্রামের সেন্টু ডিলারের মেয়ে শিল্পী আক্তার (১৩)’এর সাথে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার স্কুল হাটের মফিজুল হক (১৯)’এর ছেলে জহিরুল’র বিয়ে হয়। শিল্পী আক্তার ভোমরাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

বর কন্যা প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় কাজি আব্দুল জব্বার বিয়ে রেজিষ্ট্রি না করে চলে যান। তারপরও এ বিয়ে মুন্সি দ্বারা পড়ানো হয় কিন্তু এখনও বিয়ে গুলো রেজিষ্ট্রি করা হয়নাই। কাজি আঃ জব্বার এ প্রতিনিধি’কে জানান, এলাকায় আমি সম্প্রতি অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রায় ২৩টি বিয়ে নাকচ করেছি। তার পরও তারা গোপনে মুন্সি দিয়ে বিয়ে পড়ায়। যা আইন সম্মত নয়। ভোমরাঘাট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহাবুদ্দিন আলী জানান, শিল্পী আমার স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সে প্রাপ্ত বয়স্কা না হওয়ার পরও আইন বহির্ভুতভাবে তার বাবা বিয়ে দিয়েছে। এ এলাকায় এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে যার কোন প্রতিকার হচ্ছে না।

এলাকার ইউপি সদস্য আবদুল্লাহ বলেন, অভিভাবকরা আমাদের কথা কর্নপাত করেনা।
সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সংসদ সদস্যা অধ্যাপিকা মোছাঃ সেলিনা জাহান লিটা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হলাম। বাল্য বিবাহ সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে প্রয়োজীনয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


(কেএএস/এনএস/অক্টোবর ১০, ২০১৫)