টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : রাজধানীর বাড্ডায় পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খানকে গলা কেটে হত্যায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে টাঙ্গাইল থেকে আটক করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। তরিকুল ইসলাম তারেক নামের (২৩) ওই যুবককে মঙ্গলবার রাতে দেলদুয়ার উপজেলার মৌলভীপাড়া থেকে আটক করা হয় বলে দেলদুয়ার থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান।

আটক তারেক ওই এলাকার পিয়ার আলীর ছেলে। তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। ওসি মোশরাররফ বলেন, রাতে ঢাকা ডিবি পুলিশের একটি দল অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে মৌলভীপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই যুবক আটক করে নিয়ে যায়।

দেলদুয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম তুহিন আলী জানান, ঢাকা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তারেকুলকে আটক করে নিয়ে গেছে। তারেকুল জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। এর আগে তারেকুল ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক বছর কারাগারে ছিলেন। তিন বছর আগে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি দেলদুয়ারে এসে স্থানীয় মাদ্রাসায় ভর্তি হন।

উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় নিজের বাড়িতে খুন হন ৬৮ বছর বয়সী খিজির খান। নিজের বাড়িতে একটি খানকা শরীফ ছিল তার, তাকে অনেকে পীর মানত। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ৫/৬ জন ঢুকে তাকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত খিজিরের বাবার নাম হাবিব রহমত উল্লাহ। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর এলাকায় তার বাড়ি। তিনি পীর ছিলেন। প্রায় ১২ বছর আগে তিনি মারা যাওয়ার পর পীরের ছেলে হিসেবে খিজির খানের শিষ্যত্ব নেন মুরিদরা।

এক বছর আগে ২০১৪ সালের ২৭ অাগস্ট ঢাকার রাজাবাজারের বাসায় একইভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল ইসলামী ফ্রন্টের নেতা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে। তার আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর গোপীবাগে খুন করা হয় কথিত পীর লুৎফর রহমানকে। ওই দুটি হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল-কিনারা গোয়েন্দারা করতে না পারলেও তাদের ধারণা, মতাদর্শিক বিরোধের কারণে জঙ্গিবাদীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

(ওএস/এসসি/অক্টোবর ১৪, ২০১৫)