মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনা মদন উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মুক্ত জলাশয়গুলো সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে এক শ্রেণির অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তি নামে বেনামে দখল করে ফায়দা লুটছে।

এতে এলাকার সাধারণ লোকজন মাছ ধরা থেকে বঞ্চিতসহ সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মগড়ানদী, বর্নিনদী, ফতেপুর রামগোপালপুরের পিছনের নদী, বয়রাহালা নদী, ফড়িং খাল ও ফতেপুর জালোবাড়ির খালসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মুক্ত জলাশয়গুলো এলাকার একশ্রেণির অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তি মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ, সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে বাঁশ, জাল ও গাছের ডালপালা ফেলে বাঁধ তৈরি করে মাছ নিধন ও ধান উৎপাদন করে জায়গা দখলে নেয়ায় এলাকাবাসী খুবই অসহায় হয়ে পড়েছে। এইসব এলাকায় অবাধে নৌ চলাচল ব্যাহতসহ পাওয়ার পাম্পের পরিবর্তে সেলু মেশিন সেচ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কৃষিকাজের ব্যয়ভার বৃদ্ধি ফেলেও প্রভাবশালীদের দাপটে কৃষকরা নিরব থাকতে বাধ্য হচ্ছে। সরকার মুক্ত জলাশয়গুলোর ইজারা বাতিল করে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেও জাল যার জলা তার নীতি অনুসৃত হচ্ছে এবং সাধারণ লোকজন এর সুফলতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আর সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব।

অন্যদিকে সরকারি খাসজমি প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে। এতে করে প্রভাবশালীদের দ্বন্দ্বের কারণে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার আশংঙ্কা বিরাজ করছে এলাকায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা সফু দিলোয়ার হোসেন জানান, মুক্ত জলাশয়গুলো প্রভাবশালীদের দখল থেকে মুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফতেপুর তহসিল অফিসের তহসিলদার সুবল জানান, তাড়াইল বর্নি ইজারা নিয়ে মুক্ত জলাশয় মদন বর্নি ইজারাদাররা ভোগ দখল করছে। মদন বর্নির দখল মুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বারবার মোবাইল ফোনে কল করে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

(এএমএ/এলপিবি/অক্টোবর ১৭, ২০১৫)