নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের সংহতি সাহিত্য পরিষদের আদলে সংহতি বাংলাদেশর যাত্রা শুরু। সম্প্রতি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সংহতি বাংলাদেশর অভিষেক সন্ধ্যা। সংহতি বাংলাদেশের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন কবি-সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি আর সাধারন সম্পাদক কবি আলোফ্রেড খোকন।

অভিষেক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিস্ট কবি নির্মলেন্দু গুন লন্ডনে সংহতি আয়োজিত বাংলা কবিতা উৎসবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিলেতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চায় সংহতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাদের প্রতিটি উৎসব আয়োজনেই নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ থেকে প্রবীন কবি লেখকরা যোগ দিচ্ছেন। সংহতি বাংলাদেশের মাধ্যমে এই মেলবন্ধন আরও বাড়বে।

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও লেখক আবেদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আশা প্রকাশ করে বলেন, সংহতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি লেখকদের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরী করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে সংহতি সাহিত্য পদক ২০১৫ প্রাপ্ত লেখক কবি মাশুক ইবনে আনিসের হাতে তার পদকটি তুলে দেন কবি নির্মলেন্দু গুন।

এর আগে কবি জীবনানন্দ দাশ ও শামসুর রাহমানকে উৎসর্গীকৃত উক্ত অনুষ্ঠানের শুরুতেই তাদের কবিতা থেকে পাঠ করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আবৃত্তিসংঘের ভিবিন্ন শিল্পীরা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ক্লোজআপ তারকা বাবু্।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কবি-লেখক-শিল্পীদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রাজু আলাউদ্দিন, সরকার আমিন, কুমার চক্রবর্তী, আহমাদ মোস্তফা কামাল, শাহনাজ মুন্নী, নাজিব তারেক, শোয়াইব জিবরান, সৈকত হাবিব, মাহবুব আজীজ, সুমন্ত আসলাম, ওবায়েদ আকাশ, পিয়াস মজিদ, সেলিনা আক্তার প্রমুখ। যুক্তরাজ্য সংহতির প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইকবালুল হক। এসময় তিনি যুক্তরাজ্য সংহতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি ফারুক আহমেদ রনি, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছড়াকার-নাট্যকার আবু তাহেরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিক সংস্কৃতিসেবীদের শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে মুস্তাফিজ শফি জানান, গত ২৫ বছর ধরে সংহতি বিলেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি একটি পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। সংহতি যুক্তরাজ্য এবং সংহতি বাংলাদেশ এখন যৌথভাবে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির উন্নয়নে নানা কার্যক্রম গ্রহণ করবে। শুরুতেই তারা যৌথ উদ্যোগে একটি সাহিত্য অনলাইন এবং নিয়মিত কিছু প্রকাশনা করবেন। নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে সাহিত্য আড্ডার। বইমেলায় অংশগ্রহনের পাশাপাশি প্রতিবছর ঢাকায় হবে সাহিত্য উৎসব। ঢাকা-লন্ডনের বাইরে সংহতি আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাবে বিশ্বের অন্যান্য শহরেও। বাংলাদেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও সংহতির কার্যক্রম বিস্তৃত হবে।

২৫ সদস্যের সংহতি বাংলাদেশ কমিটিতে আরও রয়েছেন সহসভাপতি শোয়াইব জিবরান, যুগ্ম সম্পাদক স্বকৃত নোমান, অর্থ সম্পাদক মো. আলী মনসুর, সাংগঠনিক সম্পদক রাজীব নূর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল শাহিদ, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সৈকত হাবিব, সংস্কৃতি সম্পাদক নওশাদ জামিল, দপ্তর সম্পাদক শাহ আল মাসুদ রানা। নির্বাহী সদস্য শাকুর মজিদ, রাজু আলাউদ্দিন, মাহবুব আজীজ, আহমেদুর রশীদ টুটুল, ওবায়েদ আকাশ, আজিজুল পারভেজ, জাহানারা পারভীন, রহিমা আফরোজ মুন্নী, শিমুল সালাউদ্দিন, অদ্বয় দত্ত, পিয়াস মজিদ, শাহেদ সীমান্ত, লীনা ফেরদৌস, সেলিনা আক্তার ও ফাহমিদা রহমান।

(ওএস/অ/অক্টোবর ১৮, ২০১৫)