টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা চেয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এতে বঙ্গবীরের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো।

রবিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এ রায় দেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী বঙ্গবীরের আপিল আবদেনর শুনানি করে ইসি। এ সময় তাঁর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর প্রার্থিতা চেয়ে দায়ের করা আপিল আবেদনেরও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তার আবেদনটিও খারিজ করে দেয় ইসি।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে মোতাবেক আগামী ১০ নভেম্বর এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অন্য দলের পাশাপাশি এতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর গত শুক্রবার এই দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।

১৩ অক্টোবর বাছাইয়ের পর রিটার্নিং কর্মকর্তা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী ও হাসমত আলী, জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) সাদেক সিদ্দিকী, বিএনএফের আতাউর রহমান খান এবং এনপিপির ইমরুল কায়েসের মনোনয়পত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

শুনানির পর কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ইসির প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আশা করি, সুবিচার পাবো। তাই আপাতত উচ্চ আদালতে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।

২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপনির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সে সময়ও ঋণখেলাপীর অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিলো।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৮, ২০১৫)