স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ  বলেছেন, দেশে ২৩টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল) করা হবে। স্পেশাল ইকোনোমিক জোন স্থাপনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।

বুধবার পাবলিকেশন সিরিমনি অব টুওয়ার্ড নিউ সোর্সেস অব কমপিটেটিভনেস ইন বাংলাদেশ- কী ফাইনডিং অব দ্য ডায়াগনিস্টিক ট্রেড ইনট্রিগ্রেটেড স্টাডি- এর মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি ইকোনমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন সম্পর্কিত সভায় ২৩টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ইকোনমিক জোনের মধ্যে চীন, জাপান ও ভারতকে খাত ভিত্তিক অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে ওঠে এসেছে- বাংলাদেশের এক্সপোর্ট দ্বিগুন বেড়েছে। যদি চীনের ২০ শতাংশ বাজার দখল করা যায় তাহলে আমাদের পোশাক খাতের রফতানি দ্বিগুন বেড়ে যাবে। এর ধারাবিহকতায় ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ পরিণত হবে বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, যদি আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়, তাহলে আমাদের বর্তমান জিডিপি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের এক্সপোর্ট গ্রোথ ৩২ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স ১৬ বিলিয়ন ডলার। এভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি চলতে থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের একটি দেশে পরিণত হবে।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার হলে প্রতি বছর বাংলাদেশে ২০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ চক্রবর্তী, বিশ্ব ব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট সঞ্চয় কাথুরিয়া, এফবিসিসিআই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২১, ২০১৫)