নিউজ ডেস্ক : আজ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে আকস্মিকভাবে সকলকে শোকস্তব্ধ করে পাড়ি দেন অন্য ভুবনে।

২০১২ সালের সেই দিনটি ছিল নবমীর সকাল। গোটা শহর সুনীল প্রয়াণের খবরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই শূন্যতা আজও ঘুরেফিরে আসে। দক্ষিণ কলকাতার ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনে তার ফ্ল্যাটের বসার ঘরে এখনও সুনীলের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। সুনীলের একটি প্রতিকৃতিতে দেয়া মালাটিই মনে করিয়ে দেয় জগতে নেই সকলের প্রিয় সুনীলদা। বাংলা ও বাঙালির এ প্রিয় লেখক তার মৃত্যুর পর কোনও অনুষ্ঠান হোক তা চাননি। আর তাই তার মৃত্যুদিনে কবিতা পাঠ আর গানের মধ্য দিয়েই তাকে স্মরণ করা হয়।

বাংলাদেশের ফরিদপুরে সুনীলের জন্ম। জন্ম বাংলাদেশে হলেও তিনি বড় হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। পড়াশুনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক।

১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ খ্রিস্টোব্দে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন এবং ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি, যুগলবন্দী (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), হঠাৎ নীরার জন্য, অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রথম আলো, সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, মনের মানুষ ইত্যাদি।

সুনীল সব ধরনের লেখা লিখলেও মনেপ্রাণে তিনি ছিলেন একজন কবি। আর তাই তরুণ কবি ও লেখকরা সবসময়ই তার প্রশ্রয় পেযেছেন। নতুন কিছু লিখেই তরুণরা তার কাছে ছুটে আসতেন। সুনীল তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে সব বুঝিয়ে দিতেন। প্রয়োজনে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতেন। জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তার কাছে সবচেয়ে বড় ছিল পাঠকের ভালবাসা।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৩, ২০১৫)