বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে যৌতুকের দাবিতে রুনা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় রবিবার সকালে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শশুর-শাশুড়ি ও ননদকে আটক করেছে।

এর আগে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহত গৃহবধূ রুনা খাতুন বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের লাউপালা গ্রামের মুদি দোকানী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী সাইফুল ইসলাম।

আটককৃতরা হলেন নিহত গৃহবধূর শশুর আব্দুস সালাম, শাশুড়ি তারু বেগম ও ননদ লাকি আক্তার।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে সদর উপজেলার লাউপালা গ্রামের আব্দুস সালাম শেখের ছেলে মুদি দোকানী সাইফুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামের ওহিদ শেখের মেয়ে রুনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় অত্যাচার-নির্যাতন করত রুনার শশুর বাড়ির আত্মীয়রা।

নিহতের বাবা ওহিদ শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় সাইফুলকে (জামাতা) যৌতুক হিসাবে দুই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপরও আরো টাকা দাবি করে বিভিন্ন সময় মেয়েকে নির্যাতন করত জামাতা সাইফুলসহ শুশুর বাড়ির লোকেরা। এবিষয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার সলিশ বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, গত রাতে আমার মেয়েকে পিটিয়ে ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি তদন্ত মাহাবুবুর রহমান মিনে বলেন, পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

(একে/অ/অক্টোবর ২৫, ২০১৫)