স্টাফ রিপোর্টার : তামাক সেক্টরে সাত বছরে ১৬ শতাংশ শুল্ক কমেছে। আগে দেড় টাকা দামের এক শলাকা সিগারেট থেকে সরকার শুল্ক পেত ৭০ শতাংশের বেশি।

এখন একই দামের সিগারেট থেকে পাচ্ছে মাত্র ৫৪ শতাংশ। এ কারণে গত সাত বছরে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

অপর দিকে একের পর এক বেড়েছে ধুমপায়ীর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মুলত সিগারেটের দাম মূল্যস্ফীতি অনুসারে কম থাকায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ধূমপায়ীর সংখ্যা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বাজেটে অর্থের জোগান দিতে গত সাত বছরে সরকার বিভিন্ন খাতে করের হার বাড়িয়ে। জানা গেছে, সিগারেটের ক্ষেত্রেও করের হার বেড়েছে, তবে তা নির্দিষ্ট কয়েকটি স্তরের জন্য। যেমন এখন প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটে কর ৭৬ শতাংশ তা ২০০১-২০০২ অর্থবছরে ছিল ৬৬ শতাংশ। কিন্তু সিগারেটের ক্ষেত্রে করের হার তো বাড়েইনি বরং কমেছে। ২০০১-০২ অর্থবছরে নিুস্তরের সিগারেটের ওপর ৫৫ শতাংশ কর জারি ছিল যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৪ শতাংশ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের জন্য বিভিন্ন রকম করের হার নির্ধারণ ধূমপান নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বাংলাদেশে সিগারেট বাজারের ৬০ শতাংশ দখল করে আছে কম দামি বা নিুস্তরের সিগারেট। অথচ এই স্তরের সিগারেট থেকে সরকার মাত্র ২৮ শতাংশ রাজস্ব পাচ্ছে। আর মাত্র ৪০ ভাগ বিক্রি হয় যে তিনটি স্তরের সিগারেট সেখান থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে ৭২ শতাংশ। সূত্র জানায়, কয়েকবছর আগেও সরকার সিগারেট খাত থেকে অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ১১ শতাংশ পেত। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ রাজস্বের মাত্র ৭ শতাংশ সিগারেট খাতকে পেয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ সিগারেটগুলোর ওপর সঠিক মাত্রায় করারোপ না করতে পারায় এবং সঠিক দাম নির্ধারণ না করতে পারায় ক্রমবর্ধমান চাহিদানুযায়ী সিগারেট খাত থেকে রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।

জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেশন অব টোবাক্যো কন্ট্রোলে (এফসিটিসি) সই করা ৫৫টি দেশ ইতিমধ্যে স্পেসিফিক স্ট্রাকচার প্রবর্তন এবং স্তরের সংখ্যা কমিয়ে তামাক খাতে করারোপ করে রাজস্ব বৃদ্ধি ও ধূমপায়ীর সংখ্যা কমাতে সক্ষম হয়েছে।

(ওএস/এটিআর/মে ২৬, ২০১৪)