উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজের কল্যাণ গতিশীল হয়। সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে সমাজের জন্য কাজ করে গেলেই, সামাজিক শান্তি, শৃঙ্খলা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সম্ভব সমাজকে সকল অনাচার, দুর্নীতি, মাদকের গ্রাস, আর অপরাজনীতি থেকে মুক্ত রাখা। আর এসব কাজের জন্য একতার পর যেটা সব থেকে বেশি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে মূলধন। কারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন করে বেকারত্ব দূর করা মূলধন ছাড়া সম্ভব নয়। সেই সাথে প্রয়োজন মূলধনকে সঠিক পথে এবং সঠিক সময়ে বিনিয়োগ করা বা বিনিয়োগের দক্ষতা থাকা।

দেশে এই সবগুলোর কাজের জন্য সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার মত নেতৃত্ব খুব বেশি দেখা না গেলেও নারায়ণগঞ্জ বাসীর কল্যাণে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান একে এম সেলিম ওসমান। একই সাথে তিনি একজন শ্রমিক, কৃষক, মালিক ও ব্যবসায়ীর নেতা।

দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে যিনি বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বের ২০ দেশে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন নীট সেক্টর নিয়ে। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির দেশ চীনের সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করে পোশাক রপ্তানীখাতে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন দ্বিতীয় স্থানে। আর প্রথমস্থানে রয়েছে চীন। সেলিম ওসমানের দক্ষতায় বাংলাদেশ এখন চীনেও বাজার সৃষ্টি করেছে। শীঘ্রই পোশাক রপ্তানীতে বাংলাদেশ চীনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

সেলিম ওসমানের নেতৃত্বে নীট ব্যবসায়ীরা ৩৫ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান করেছে। যার ৭০ শতাংশ নারী শ্রমিক। ফলে অর্থনৈতিকভাবে সামলম্বী হয়েছেন আমাদের সমাজের মায়েরা। সেলিম ওসমান একা তার কর্মদক্ষতা আর সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে আড়াইহাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান করেছেন। এর মধ্য দিয়ে আড়াইহাজার শ্রমিকের পরিবারের হাজার হাজার মানুষ তাদের ভাত, কাপড়ের চাহিদা পূরণ করছে।

উন্নয়নের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে পারে সবাই, এমনকি ভদ্রতার আবরনে পুরো সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের ঘোষনাও অনেকে দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবতে পরিবর্তন শুধু তাদের পক্ষেই আনা সম্ভব, যারা নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে সেই পরিবর্তনের আলোতে আরো হাজারো মানুষের জীবনের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। সেলিম ওসমান এমই একজন আলো ছাড়নো সাধারণ মানুষের মাঝে অসাধারণ মানুষের প্রতিচ্ছবি।

সেলিম ওসমান তার বড় ভাই সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর নারায়ণগঞ্জের মানুষের কথা চিন্তা করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সর্বোচ্চ কাঠামো নেতৃত্ব থেকে একে বারে নিন্ম স্তর সাধারণ মানুষের কাতারে এসে দাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের সুখ দু:খকে ভাগাভাগি আর চাহিদা ও স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের উপ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে।

সেলিম ওসমানের পারিবারিক ঐতিহ্য


বিট্রিশ-বিরোধী আন্দোলন থেকে মহান ভাষা আন্দোলন, ১১ দফা, ৬ দফা সহ স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক ও প্রতিষ্ঠিত পাট ব্যবসায়ী খ্যাত ওসমান পরিবারের সন্তান এ. কে. এম সেলিম ওসমান।

দাদা খান সাহেব ওসমান আলী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার এমএলএ। বাবা ভাষা সৈনিক শামসুজ্জোহা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর। ভাষা আন্দোলন, ১১ দফা, ৬ দফা, আন্দোলোনে অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭০ সালে গণপরিষদ ও স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় লগ্নে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতির জনকের পরিবারের সদস্যদের মুক্ত করতে গিয়ে ঢাকায় হানাদার বাহিনী কর্তৃক হাতে গুলিবিদ্ধ হন। ওসমান পরিবারের বাস ভবন খ্যাত নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার এলাকায় অবস্থিত ‘বায়তুল আমান’ এ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সৃষ্টি হয়। যা কিনা জাতীয় সংসদে নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবে ভাষন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উল্লেখ করেছেন। সেলিম ওসমানের দাদা ও বাবা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মহান ভাষা আন্দোলনে ওসমান পরিবারের ৫জন সদস্য একই সাথে কারারুদ্ধ হন। চাচা মরহুম মোস্তফা সারওয়ার ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক। স্বাধীনতার পরবর্তীতে তিনি বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ফুপা ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম বাংলাদেশ সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

সেলিম ওসমানের মায়ের নাম নাগিনা জোহা। ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরে জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়। বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠ পোষকতায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্য সভার স্পিকার ছিলেন। নাগিনা জোহা ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের অধীনে মেট্টিক পাস করেন। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সন্তান রাজনীতিবিদ এ কে এম শামছুজ্জোহার সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। স্বামীর বাড়িতে নতুন বউ হিসেবে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর শ্বশুর তৎকালীন এমএলএ খান সাহিব ওসমান আলীর চাষাঢ়ার বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ ছিল আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু।

সেলিম ওসমানের বড় ভাই নাসিম ওসমান ছিলেন একজন সুইসাইড স্কোয়াডের মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল নাসিম ওসমানের বৌভাত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্ব-পরিবারে নাসিম ওসমানের বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাতে ঢাকায় ফিরে যান। ওই রাতেই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। নাসিম ওসমান পরদিনই তার নববধূকে রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগদেন। নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরের গণমানুষের নেতা। নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসন থেকে তিনি ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০০৮, ও ২০১৪ সালে মোট ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে নাসিম ওসমানই সর্বোচ্চ ৪ দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচত হন।

সেলিম ওসমানের ছোট ভাই শামীম ওসমান এক সময়কার তুখোড় ছাত্রনেতা ও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় দফায় তিনি এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকায় ২৬’শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করে ছিলেন। যার মধ্যে শহীদ জননী শাহানারা ইমামের নামে তোলারাম কলেজে একটি ভবন প্রতিষ্ঠা করেন এবং খান সাহেব ওসমান আলীর নামে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় একটি আর্ন্তজাতিক মানের স্টেডিয়াম করেন। এছাড়াও বাংলাদেশে শামীম ওসমানই প্রথম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করে গোলাম আজমকে নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর খুনী বজলুল হুদার নির্যাতনের চিহ্ন সেলিম ওসমানের শরীরে


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাত্রির পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনী মেজর (অব:) বজলুল হুদার অত্যাচারের সেই চরম দুঃসহ স্মৃতির চিহ্ন এখনো শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর প্রয়াত একেএম সামসুজ্জোহার ছেলে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের এমপি সেলিম ওসমান।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট সেলিম ওসমানের বড় ভাই নাসিম ওসমানের (প্রয়াত) বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল উপস্থিত ছিলেন। এর পর দিন ভয়ঙ্কর সেই ১৫ আগস্ট নাসিম ওসমানের বিয়ের বৌ ভাত অনুষ্ঠিত হয়। এ বিয়েতে শেখ কামাল তার স্ত্রী নিয়ে আসার কথা ছিল। ১৪ আগস্ট বিয়ের পর নাসিম ওসমান শেখ কামালকে নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তার শেষ পরিণতি ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়িতে হবে বিধাতার এমন লেখনীর কারণে হয়তো বা তড়িগড়ি করে শেখ কামাল ১৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে ঢাকা চলে যান।

ঘটনার দিনক্ষন স্পষ্ট করে মনে নেই সেলিম ওসমানের। ঘটনার দিন ঢাকার গুলিস্থান থেকে তাকে ফলো করে বজলু ও কিশমত হাশেম। এক পর্যায়ে সেলিম ওসমানকে বহন করা গাড়িটি নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নাম্বার রেল গেইট এলাকায় আসলে তাকে আটক করে কঠোর নিরাপত্তায় নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গভবনে। সেখানে তার ওপর চলে অমানুষিক টর্চার। তার বুকে জ্বলন্ত সিগারেটের অসংখ্য ছ্যাকা দেওয়া হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। সেলিম ওসমানের কাছে নুরু মিয়া চৌধুরী বাচ্চুর অবস্থান জানতে চায়। কিন্তু সেলিম ওসমান নুরু মিয়া চৌধুরী বাচ্চু সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু না বলায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায় চরম হারে। বঙ্গবভন থেকে পরে সেলিম ওসমানকে নিয়ে যাওয়া হয় রেডিও ভবনে। সেখানেও তার ওপর চলে অমানষিক নির্যাতন। বেশ কয়েকদিন সেখানে রাখার পর সেলিম ওসমানকে আবহনী ক্লাবের সামনে ছেড়ে দেওয়া হলেও পরবর্তি কয়েক মাস ধরে তাকে বজলুর হুদার কাছে হাজিরা দিতে হত। সেই সব দিনের সে দুঃসহ স্মৃতি আজো তাড়া করে বেড়ায় সেলিম ওসমানকে।

প্রসঙ্গত বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর নিজের একদিনের নব পরিণিতা বধুকে রেখে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান। যোগদেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকির বাহিনীতে। সেখানে একাধিক যুদ্ধে অংশ নেন এই বঙ্গবন্ধু প্রেমিক।

জীবন যুদ্ধে সেলিম ওসমান


ছাত্র থাকা অবস্থায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন সেলিম ওসমান। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ঢাকা কলেজ থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে স্বপরিবারের হত্যার পর বাবা সামসুজ্জোহা গ্রেপ্তার হন এবং তাকেও ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে বঙ্গবন্ধুর খুনী চক্র। খুনিদের অত্যাচার আর লুটপাটে যখন সম্পূর্ন ওসমান পরিবার প্রায় সর্বশান্ত তখন নিজে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যাত্রা ত্যাগ করে সংসারের হাত ধরেন। বাবা জেলে, বড় ভাই বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে সশস্ত্র বিপ্লবে যোগ দেন কাদের বাহিনীতে। তখন সংসাদের দায়িত্ব নিতে গিয়ে সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ থেকে চৌমহনী পর্যন্ত বাস চালিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের ৫নং ঘাট এলাকায় মাছ বিক্রি করেছেন। কালীরবাজার ও ঢাকা বাইতুল মোকারম মসজিদের সামনে ফেরি করে মুরগী বিক্রি করেছেন। শহরের উকিলপাড়া এলাকায় হোসিয়ারীতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। সততা আর নিষ্ঠায় আজ সেলিম ওসমান সারা বিশ্বের দরবারে একজন প্রতিষ্ঠিত নীট ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদের সহযোগীতায় সেলিম ওসমান প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ নীট ওয়্যার ম্যাানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন(বিকেএমইএ)। ১৯৯৭ সালে জিএসপি জটিলতায় যখন নীট রপ্তানী চরম ঝুঁকির মধ্য তখন সমস্যা উত্তরনে সেলিম ওসমান বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।

নারায়ণগঞ্জে রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) অফিস স্থাপন করেন বিশেষ ভূমিকা রাখেন সেলিম ওসমান। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। ২০১০-২০১২ মেয়াদে তিনি বিপুল ভোট বিজয়ী হয়ে বিকেএমইএ সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০১২-২০১৪ মেয়াদে দ্বিতীয় দফায় তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪-২০১৬ মেয়াদে তৃতীয় দফায় তিনি বিকেএমএইএ সভাপতি নির্বাচিত হন এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিকেএমইএ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

১৯৯৯ সাল থেকে বতর্মানে পঞ্চম দফায় সেলিম ওসমান ৭টি জাতীয় ভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠন ও ৩৩টি জেলা ভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার নেতৃত্বে ২০০০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বিজয় স্তম্ভে ‘হরতাল ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ চাই’ এই স্লোগানে লক্ষাধিক মানুষ হরতাল বিরোধী সমাবেশ করে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাইল ফলক হয়ে আছে। বর্তমানে সেলিম ওসমান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর একজন পরিচালক।

(ওএস/অ/নভেম্বর ০৮, ২০১৫)