নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে ধান ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলাম অপহরণের ১৩ ঘন্টা পর ৪০ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পায়।

জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার উত্তরপাড়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ধান ব্যবসায়ি শরীফুল ইসলাম (২৭) তার প্রতিবেশী আব্দুল খালেকের পরিত্যক্তা স্ত্রী মুর্শিদা বেগম (২২) এর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

পূর্ব যোগাযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার সকালে তারা দু’জনে উপজেলার বনপাড়া বাজার এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে মুর্শিদার সহযোগী রনি ও সুজন নামে দুই যুবক আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। শরীফুল তার কথিত প্রেমিকা মুর্শিদাকে নিয়ে বনপাড়ায় পৌঁছার পর রনি ও সুজন তাদের ডেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে তারা শরীফুলের বিরুদ্ধে মুর্শিদাকে নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে আটক করে রাখে।

একপর্যায়ে তারা শরীফুলের নিকট থেকে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে সমঝোতার মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার পর বনপাড়া বাজারে রাত ১১ টার দিকে শরীফুলকে ছেড়ে দেয়। তবে শরীফুলকে ছেড়ে দেওয়ার সময় তার কথিত প্রেমিকা মুর্শিদাকে দেখা যায়নি।শরীফুল ছাড়া পাওয়ার পর বিভিন্ন মাধ্যমে মুর্শিদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বাড়িতে রয়েছেন বলে জানান।

শরীফুলের চাচা শাহিনুর রহমান মুক্তিপণের ৪০ হাজার টাকা প্রদানের কথা স্বীকার করে জানান, রাতে তিনি দাবিকৃত টাকা দেওয়ার পর শরীফুলকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। তবে মুর্শিদার বিষয় কিছুই জানেননা বলে জানান। ভাতিজা শরীফুলের ক্ষতির আশঙ্কায় এবিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়নি। তবে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করছে, প্রেমঘটিত অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় তারা ৪০ হাজার টাকায় বিষয়টি দফারফা করেন। একারণেই এবিষয়ে তারা থানায় কোন অভিযোগ করেননি।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ না করায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। এছাড়া বিষয়টি নারী ঘটিত বলে শুনেছেন।

(এমআর/জেএ/মে ২৭, ২০১৪)