বেনাপোল প্রতিনিধি : বেনাপোল সীমান্তে ফেনসিডিল আটক নিয়ে চোরাচালানীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সরন চন্দ্র নামে এক বিজিবি সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় ৩ জন আটকসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা করেছে বিজিবি। সোমবার রাত ৮টায় বড়আঁচড়া মুচিপাড়া বিজিবি সীমান্ত পোস্টে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় একদল চোরাচালানী ভারত থেকে মাদকের একটি চালান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেখানে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা চোরাচালানীদের ধাওয়া করলে তারা একটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা বস্তা ভর্তি ফেনসিডিল উদ্ধার করে বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে কয়েকজন চোরাচালানী বিজিবি সদস্যদের কাছ থেকে মাদক ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আক্রমণ চালায়। এ সময় বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে চোরাচালানীদের সংঘর্ষ বাধে।

বিজিবি-চোরাচালানীদের মধ্যে দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। রণক্ষেত্রে রূপ নেয় সীমান্ত এলাকা। পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে চোরাচালানীরা তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সরন চন্দ্র নামে এক বিজিবির ল্যান্স নায়েকের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

বিজিবির একটি সূত্র জানায়, মাদক চোরাচালানী ও বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা করেছে বিজিবি। আসামিরা হল- বড়আঁচড়া ও ভবেরবেড় গ্রামের শিমুল, কবির, জাহাঙ্গীর, সাইফুল, রাজা মিয়া, সমিরুল, মুনছুর, শাওন, শফিউল, বাবু, নূর হোসেন, আমিনুর, আক্কাস, রিয়াজুল, কবীর, বাক্কা, মাহাবুব, আলামিন, কাদের, মানিক ও মেহের আলী।

যশোর ২৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মতিউর রহমান ২১ জনের নামে মামলার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিজিবির কোনো সদস্য কাউকে আঘাত করেনি। চোরাচালানীরাই এক বিজিবি সদস্যকে মাথায় কোপ দিয়ে আহত করেছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি নিরীহ গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা চোরাকারবারীদের রুখতে বিজিবিকে সহযোগিতা করুন। বিজিবি কাউকে হয়রানি করবে না।

(ওএস/এইচআর/মে ২৭, ২০১৪)