ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ঢাকা বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে ৬ দফা দাবিতে ময়মনসিংহ ও এর আশপাশের ৮ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।

ইতোমধ্যে ধর্মঘটের ফলে সড়কপথে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোণা জেলায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ওপর আনসার সদস্যদের গুলি করার প্রতিবাদে নেত্রকোণা জেলার প্রশাসক ড.আবুল কালামকে দ্রুত প্রত্যাহার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মাহেন্দ্রা ত্রি-হুইলার, ইমা, রুট পারমিট বহির্ভূত এলাকায় চলাচল এবং রুট পারিমট দেওয়া বন্ধ, লিজ নেওয়া বিআরটিসি ও দ্বিতল বাস উপজেলা ভিত্তিক চলাচল বন্ধ, স্কেলের নামে ট্রাকের চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সব ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা সহ ছয় দফা দাবিতে সকাল ৬টা থেকে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, জামালপুর, ঢাকা এবং গাজীপুরের সাথে সকল যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোমবার দুপুরে জুবলীঘাট এলাকায় ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতি কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে ঢাকা বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক আমিনুল হক শামীম এ ঘোষণা দেন।

এ পরিবহন ধর্মঘটের ফলে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সঙ্গে জেলা জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও গাজীপুরের সড়ক পথের যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। এতে চরম ভোগান্তিতে এ ৮ জেলার হাজার হাজার মানুষ।

ভোর থেকে ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, পাটগুদাম ব্রীজ মোড় টার্মিনালের সব কাউন্টার সহ আন্ত:উপজেলার সকল বাস টার্মিনালের টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। ট্রাক-বাসের পাশাপাশি সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের কোন টার্মিনাল থেকে কোন বাস-ট্রাক ছেড়ে যায়নি।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিভাগীয় মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও এফবিসিসিআই পরিচালক আমিনুল হক শামীম বলেন, নেত্রকোণা জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করে সরকার যদি আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তবেই এ ধর্মঘট স্থগিত করা হবে।

এদিকে একই দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট ডাকে উত্তরাঞ্চলের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

(এসআইএস/জেএ/মে ২৭, ২০১৪)