স্টাফ রির্পোটার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানার বৈশ্বিক গড়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলকভাবে ভালো।

তিনি জানান, রানা প্লাজা ধসের পর অ্যাকর্ড (ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ক্রেতাদের জোট) এবং অ্যালায়েন্স (উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট) ১ হাজার ৫০০ কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে মাত্র ১৯টি কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, যার গড় হার ২ শতাংশেরও কম। যেখানে সারাবিশ্বে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার গড় ২ শতাংশ।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে বাণিজ্যমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডসহ ৫টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের পোশাক কারখানার মানোন্নয়ন, পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, শ্রমিক অসন্তোষ কমে যাওয়া নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‌‌‌'তৈরি পোশাক শিল্পে রানা প্লাজা পরবর্তী পদক্ষেপে আমাদের বিদেশি বন্ধুরা সবাই সন্তুষ্ট।'
এছাড়া পরিদর্শনে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধে আগামীতে অ্যালায়েন্সের মতো অ্যাকর্ডও সহযোগিতা করবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‌‌'আগামীতে বালি প্যাকেজ বাস্তবায়ন হলে আমরা উন্নত দেশগুলোতে কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাবো। এ সুবিধা পেলে আমরা বিশ্বের এক নম্বর পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হতে পারব।'
আগামী বাজেটে তৈরিপোশাক কারখানার সব ধরনের নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হবে বলেও জানান তোফায়েল আহমেদ।
নেদারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী এইচ ই লিলিয়ানে প্লাউমেন বাংলাদেশের কারখানার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‌'বাংলাদেশ রানা প্লাজা পরবতী সময়ে কারখানা এবং শ্রমিকদের জন্য যে কাজ করেছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা কাজ করছি রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ আদায় নিয়ে। যে সব ক্রেতা এখনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি আগামী মাসে তাদের সঙ্গে বসে ক্ষতিপূরণ আদায়ে কাজ করবো।'
নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গার্বেন ডি ইয়ং সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
(ওএস/এএস/মে ২৭, ২০১৪)