ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ শিরোনামকে প্রতিপাদ্য করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে এবং নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী ঠাকুরগাঁও এ শুক্রবারে প্রদর্শিত হয়ে গেল বিশ্বের অন্যতম শিল্প মাধ্যম সার্কাসের প্রধানতম অঙ্গ অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষিত দুর্দান্ত অ্যাক্রোবেটিক দল ‘৬৪ জেলায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী’ শীর্ষক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাদের আর্ন্তজাতিক মানের জাদুকরী নৈপূণ্য প্রদর্শন করলো ঠাকুরগাঁওবাসীর সামনে। এটা দলটির ১২৫ তম প্রদর্শনী। অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনীটি প্রদর্শিত হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমী ঠাকুরগাঁও-এর নিজস্ব অডিটেরিয়ামে। দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অডিটেরিয়ামে উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়ই জানিয়ে দিচ্ছিলো প্রদর্শনীর সফলতা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬:২০ টায় প্রদর্শনীর উদ্ধোধন করেন জনাব মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক ও সভাপতি, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, ঠাকুরগাঁও। এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমী, ঠাকুরগাঁও-এর কর্তব্যরত জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেন অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারনা প্রদান করেন এবং পরে আগত অ্যাক্রোবেটিক দলের সমন্বয়কারী মাহাবুবুর রহমান সুজনকে প্রদর্শনী সঞ্চালনার দায়িত্ব তুলে দেন। এরপর শুরু হয় মূল পর্ব।

শুরুতেই ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে শিল্প সংস্কৃতির আলো’ শীর্ষক শিরোনামে সমগ্র দেশে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আলোকিত কার্যক্রমগুলো দর্শকের সম্মুখে তুলে ধরা হয়। তারপর মঞ্চের রঙিন আলোয় প্রদর্শিত হতে থাকে জলি সিমেন, রোলার ব্যালেন্স, হ্যান্ড স্কীল, চেয়ার সিটিং, নেক আয়রন বার, রোপ রাউন্ড স্কিল, রিং জাম্প, মাউথ স্কিল, আংকারাসা, ওয়ার ব্যালেন্স, সাইকেল ব্যালেন্স, রিং ডান্স, রোপ জাম্প, ব্রিক স্কীল, নুনথু নামক চমৎকার সব শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোবেটিক কসরত প্রদর্শনী। এক একটি প্রদর্শনীর প্রতিটি মুহূর্ত দারুণভাবে উপভোগ করেছে প্রতিটি দর্শক। বিশেষকরে শিশু দর্শকরা তো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে করতালি আর হাস্যরসের অফুরন্ত এক মুহূর্ত উপহার পেয়েছে।

প্রদর্শনীতে জেলা প্রশাসক মহোদয় ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা কল্যাণ ক্লাবের সভানেত্রী জনাব বিউটি বিশ্বাস, জেলার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনতোষ কুমার দে, সঙ্গীত শিল্পী মনজুরুল হক, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী দাসসহ সকল গন্যমান্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমী ঠাকুরগাঁও-এর কমিটির সকল সদস্য, প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।


(এফআইআর/এসসি/নবেম্বর২২,২০১৫)