আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘ভালোবাসা জাতি মানে না/ কভু হাসি কভু কান্না/ সারা-সারা রাত ধরে/ নেয় প্রেম ঘুম কেড়ে/ বদনাম-বঞ্চনা আসে গায়/ তারে কীগো ভোলা যায়...।’

গানটি ভারতীয় এক শিল্পীরই। এই গানের কথাকে সত্যি করলেন আরেক ভারতীয় নারী। ড. পারমিতা সাহু। ওড়িশশার বালানগিরের বাসিন্দা। পাকিস্তানি নাগরিক মুহাম্মদ মানশাহকে বিয়ে করতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তিনি।

২০১৩’র জুলাই মাসে ফেসবুকে প্রথম সাক্ষাৎ হয় পারমিতা-মানশাহ’র। মানশাহ থাকেন পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের লাহাহ জেলায়। জেলাটি ইসলামাবাদ থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে। ২৬ বছর বয়সী পারমিতা গত সপ্তাহে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। ৯০ দিনের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে তিনি দেশটিতে আছেন।

পারমিতার বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানায়, মানশাহর পরিবার তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে গ্রহণ করেছেন। পাকিস্তানের যাওয়ার দ্বিতীয় দিনই একজন ইমামের সাহায্যে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পারমিতার নতুন নাম রাখা হয়েছে মরিয়ম।

মরিয়ম ইন্ডিয়া টুডেকে ফেইসবুকে বলেছেন, ‘আমার ভালোবাসাকে খুঁজে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আমি আবেদন করব। আমি আমার স্বামী এবং তার পিতা-মাতার সঙ্গে থাকতে চাই।’ এর মধ্যে মানশাহর পরিবার পারমিতাকে পাকিস্তানের বৈধ নাগরিক করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। গতকাল সোমবার তারা স্থানীয় কোর্টে গিয়েছিলেন।

দূরত্ব আর জাতপ্রথা ভেঙে, ফেসবুকে প্রেম করে ঘর ছাড়ার নজির ভারতে এটি দ্বিতীয়। গত বছর এপ্রিলে ভারতীয় প্রকৌশলী হামিদ আনসারই পাকিস্তানে যান তার ভালোবাসার মানুষকে খুঁজতে। কিন্তু বেচারার ঠিকানা হয় শ্রী-ঘর। বৈধ ভিসা না নিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।

(ওএস/এটিআর/মে ২৭, ২০১৪)