মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর কালকিনির ডাসার থানার বালীগ্রামের ঘুনগারকুর গ্রামে শুক্রবার গভীর রাতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থী ও তার খালা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার ৫ দিন পার হলেও এখনও থানায় মামলা হয়নি।

স্থানীয়, পারিবারিক ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার বালীগ্রামের ঘুনগারকুর গ্রামের অটোভ্যান চালকের মেয়ে চিড়াইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার্থী ও শরীয়তপুর থেকে বেড়াতে আসা ঐ পরীক্ষার্থীর খালাসহ (২২) অন্যরা শুক্রবার রাতে নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে।

গভীর রাতে একই গ্রামের আকছেদ দর্জীর ছেলে আতাউর দর্জীর (২৫) নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি দল ঘরের বেড়া কেটে ভেতরের প্রবেশ করে। এ সময় ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা-মুখ বেধে জিনিসপত্র লুট করে। পরে যাবার সময় সমাপনী পরীক্ষার্থী ও তার খালাকে জোর করে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে যায়।

এসময় তারা গণধর্ষণের শিকার হয়। প্রায় দুই/আড়াই ঘন্টা পর ধর্ষণ শেষে তাদের আবার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে ঐ ধর্ষকরা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।

পরের দিন শনিবার ধর্ষিতাদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ দিনই এই ঘটনায় ধর্ষিতা পরীক্ষার্থীর বাবা ডাসার থানায় মামলা করতে যায়। এসময় পুলিশ তাদের কাছে থেকে ধর্ষকের নাম লিখে রেখে তাদের বাড়ি চলে যেতে বলে।

এই সংবাদ পেয়ে মাদারীপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কণা ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হকের কাছে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানায় এবং মামলা নেয়ার ব্যাপারে কথা বলেন। এসময় ওসি মামলার আশ্বাস দিলেও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ডাসার থানায় মামলা হয়নি।

পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন, শনিবার মামলার জন্য থানায় গিয়েছিলাম। তারা শুধু নাম লিখে রেখে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। আমরা এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কণা বলেন, আমি ডাসার থানার ওসির সাথে কথা বলেছি। তিনি মামলা নিবেন বলে জানিয়েছেন। ধর্ষণের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ওরা থানায় এলে অভিযোগ করলেই মামলা নেয়া হবে।

(এএসএ/এএস/নভেম্বর ২৪, ২০১৫)