স্টাফ রিপোর্টার : দেশে বর্তমানে ২৯ শতাংশ নারীই বিভিন্নভাবে সমাজে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। এছাড়া ২৬ শতাংশ নারী সমাজে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ নারী বিভিন্ন ধরণের নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন।

বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন প্রতিরোধ মাস নভেম্বর-২০১৫ এবং আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০১৫’ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি পূর্ব ঘোষণাপত্রে এসব দাবি করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

এসময় আরো বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে উত্যক্তকরণ ও যৌন সহিংসতা, হুমকিপ্রদান ও পর্নোগ্রাফির ঘটনা বেড়েই চলছে। এসব কারণে তরুণীদের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে।

‘পরিবার ও সমাজ হোক নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন প্রতিরোধ দুর্গ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যৌথভাবে র‌্যালিটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও ঢাবির উইমেন্স অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ।

এতে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, উইমেন্স অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিভিন্ন নেত্রীসহ উইমেন্স অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শতাব্দী এখন জ্ঞান, বিজ্ঞানের ওপরে চলছে। এখানে কোনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি-বিভেদ নেই। এখানে সকল ধর্মের সকল শ্রেণির মানুষের সমান অধিকার। আমাদের দেশের নারীরা নানাভাবে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নে শিকার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

আয়েশা খানম বলেন, আমাদের সকল অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় যখন নারীরা নির্যাতিত হয়। নারীরা নির্যাতিত হলে দেশের অর্থনৈতিক অর্জন বৃথা হয়ে যায়। নারীরা মানবসন্তান, তাদেরও মানবাধিকার রয়েছে। আমাদের সকলের দায়িত্ব এটি রক্ষা করা।

র‌্যালির পর ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বাংলাদেশে নারী আন্দোলন : নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও তরুন সমাজের সম্পৃক্ততা’ বিষয়ে একটি পাঠ চক্রের আয়োজন করা হয়।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৫, ২০১৫)