সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর গুলিতে দুই বাংলাদেশী গরু পাচারকারি নিহত হয়েছেন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার তারালি গ্রামের বিএসএফ চৌকির পাশে বড়বাড়ি ও দোস্তর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের পাঁচরকি গ্রামের শের আলী বিশ্বাসের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫) ও কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা গ্রামের লোকমান সরদারের ছেলে খালেক সরদার (৪০)।
এদিকে বিএসএফ এর গুলিতে দুই বাংলাদেশির নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় তলুইগাছা বিওপি’র চারাবাড়ী শূন্য রেখা এলাকায় এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৩৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরমান হোসেন। অপরদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র ৭৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রাকেশ কুমার। বৈঠক শেষে আরমান হোসেন জানান,বিএসএফ বাংলাদেশী গরু রাখালদের মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। বৈঠক শেষে ফিরে যেয়েই তারা মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
সীমান্ত গ্রামবাসি জানান, বুধবার রাতে নজরুল ইসলাম ও খালেকসহ কয়েকজন তলুইগাছা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গরু আনতে যায়। বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে তারা গরু নিয়ে দেশে ফেরার সময় শুন্য লাইনের ২০০ গজ অভ্যন্তরে তারালী বিএসএফ ক্যাম্পের পাহারা চৌকির পাশে ও দোস্তর মোড়ে বিএসএফ তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। একপর্যায়ে বিএসএফ তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় কয়েকজন গরু পাচারকারি দেশে পালিয়ে আসে।
তবে নজরুল ও খালেক নিহত হওয়ার খবর শুনে পরিবারের সদস্যদের আহাজারীতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। অতিদরিদ্র পরিবারের কর্তা নজরুল ও খালেককে হারিয়ে সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।

(আরকে/এসএমএস/নভেম্বর ২৬, ২০১৫)