গাইবান্ধা প্রতিনিধি : পৌরসভা নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার সাথে সাথে গাইবান্ধায় সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা জোরে সোরে তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন। গোটা শহর প্রার্থীদের পোষ্টারে ছেঁয়ে গেছে।

সব প্রার্থীরাই ছোট খাটো সমাবেশ করে, বিভিন্ন মাহফিলে প্রধান অতিথি হয়ে এবং ভোটারদের ঘরে ঘরে তাদের বার্তা পৌছে দেয়ার চেষ্টা করছেন স্ব শরীরে হাজির হয়ে। অবশ্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণার ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে। তারা পোষ্টারিং ছাড়াও ঘন ঘন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। তারা গরীব ভোটারদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতাও করছেন। চায়ের দোকানগুলোতে পৌর নির্বাচনের বিষয়টি এখন আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে গিয়ে ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।

অপরদিকে দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি এবার গুরুত্ব পাওয়ায় দলের স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সমর্থন আদায়ে বিভিন্নভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে গাইবান্ধা পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যাও কম নয়। দলীয় ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যাই মাঠে এখন বেশী।

বর্তমান মেয়র মোঃ শামছুল আলম বর্তমানে দল নিরপেক্ষভাবেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি সব দলেরই সমর্থন পেতে সুকৌশলে তার গণসংযোগের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি পৌর পার্কটিকে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তুলে শহরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলনের নাম বেশি করে শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে শহর আ’লীগ সেক্রেটারী ও সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারুল ইসলাম, জেলা বারের সেক্রেটারী ও সদর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আহসানুল করিম লাছু ও আ’লীগ নেতা মো. ফারুক আহম্মেদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহের কথা শোনা যাচ্ছে।

অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে দলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ছানা, বর্তমান জেলা সাধারণ সম্পাদক গাওছুল আযম ডলার, শহর বিএনপির সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদের নাম দলে এবং বাইরে উচ্চারিত হচ্ছে। তবে বিএনপির প্রার্থীদের দলীয় তৎপরতা যথেষ্ট কম। তারা দলের বাইরে থেকে ব্যক্তি পরিচয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তারা হচ্ছেন সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার-উল-হাসান সবুরের ছোট ভাই আনোয়ার-উল হাসান সাহিব, সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মির্জা হাসান ও অ্যাডভোকেট সরদার রোকনুজ্জামান পলাশ।

এদিকে জাতীয় পার্টি, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি ও বাসদসহ অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে না। তাদের কোন পোষ্টার বা সাংগঠনিক তৎপরতাও চোখে পড়ছে না। প্রচারণার মাঠে নামা প্রার্থীরা দুর্নীতি মুক্ত এবং জনবান্ধব পৌরসভা গড়ে তোলার অঙ্গীকারের পাশাপাশি নানামুখী উন্নয়নের ঘোষণা দিচ্ছেন। তারা পৌরসভার সেবারমান বাড়ানোর নানা পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করছেন।

(আরআই/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০১৫)