স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি পৌর নির্বাচনে অংশ নিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তবে সেজন্য ভোট ১৫ দিন পেছানোসহ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দল বিএনপি।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

ভোটের তারিখ ১৫ দিন পিছিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ বন্ধ করা এবং কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম পৌর নির্বাচন হতে যাচ্ছে দলের মনোনয়নে, দলের মার্কায়। ২৩৬ টি পৌরসভায় এ নির্বাচন করতে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রেখে ইতোম্যে তফসিল দিয়েছে ইসি ।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত বুধবার গুলশানে নিজের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি বসেন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে বিএনপি সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও আগে-পরে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনেই অংশ নিয়েছে।

‘ব্যর্থ’ আন্দোলনের পর সর্বশেষ গত এপ্রিলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোটগ্রহণের মাঝপথে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে তা বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীরা।

পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের নীতি নির্ধারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্যরাও বৃহস্পতিবার যৌথ সভায় বসেন।

দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সভার শুরুতে বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশ নিলে দেখা যাবে- কতটুকু ভালো করবে। অংশ না নিলে তো নিজেদের দলের ক্ষতি করবে।’

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৭, ২০১৫)