লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য দুজন মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ১ জন সমর্থকের বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। সংঘর্ষের পর জয়পুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানায়, লোহাগড়া পৌরসভা নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও জয়পুর গ্রামের মৃত ইমদাদ শিকদারের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল করিম বাবুর সমর্থকদের সাথে একই গ্রামের মৃত সৈয়দ মোশারফ হোসেনের ছেলে ও আ‘লীগ নেতা সৈয়দ মশিয়ুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছিল। গত শনিবার সকালে জয়পুর বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় নাজমুল করিম বাবুর সমর্থকরা সৈয়দ মশিয়ুর রহমানের সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য শওকত সরদার (৪৮) কে মারধোর করে। এর জের ধরে গতকাল রোববার সকাল ৬ টার দিকে জয়পুর বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় সৈয়দ মশিয়ুর রহমানের সমর্থকরা হিরু মোল্যা (৬৫)কে মারধোর করে। এ সময় উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে পান্নু মোল্যা (৬০), বাচ্চু মোল্যা (৫৫), দিলু মোল্যা (৪৮) ও রাব্বি মোল্যা (১৮) গুরুত্বর আহত হয়। সংঘর্ষের সময় নাজমুল করিম বাবুর সমর্থকরা সুবোল বিশ্বাসের বাড়ি ভাংচুর করে। আহতদের প্রথমে লোহাগড়া এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় হিরু, রাব্বিল ও পান্নু মোল্যাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে নাজমুল করিম বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘সৈয়দ মশিয়ুর রহমানের সমর্থকরা বহিরাগত লোকজনদের নিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে’।
অপরদিকে, ‘সৈয়দ মশিয়ুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নাজমুল করিম বাবুর সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে’। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আহাদ শিকদার,ওহিদুজ্জামান, ইমদাদুল, লিটন শেখ ও রাজ্জাক শেখকে আটক করে। সংঘর্ষের পর পরই জয়পুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(আরএম/এসএমএস/নভেম্বর ২৯, ২০১৫)