রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও ) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় পাখী প্রেমী আনোয়ারের পাখী খামার গড়ার সাধ আছে সাধ্য নাই।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মহল বাড়ি গ্রামের কৃষক ইয়াসিন আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ১৩ জাঁতের কবুতর পাখীর খামার গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কবুতর পাখী প্রেমীর বাবা ইয়াসিন আলী এ প্রতিনিধিকে জানান,আমার এই ছেলেটি তার ছোট কাল থেকে একটু পাখী প্রেমী ছিল সে ছোট থেকেই যেখান সেখান থেকে বিভিন্ন জাতের পাখী নিয়ে এসে নিবিড় যত্ন করে তাদের মানুষের মত কথা বলা শেখানোর চেষ্টা করতেন পরবর্তীতে কবুতর পাখী নিয়ে এসে বাসায় পালন করা শুরু করলেন। এরপর আমার গরীব সংসারে এসএসসি প্রযন্ত পড়াশুনা করিয়ে তাকে বিভিন্ন কাজ কর্মে জড়িয়ে দিলাম এবং বিয়ে সাধী দিয়ে সংসারী করে দিলাম। সময়ের অভাবে এ কারণেই সে আর পাখী পালন করতে পারছিল না। তবে তার এত ঝামেলা থাকা সত্বেও সে তার নিজের চেষ্টায় অনেক অর্থ ব্যয় করে এই কবুতর পালনে সচেষ্ট রয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে কবুতর প্রেমী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি গরিব পরিবারের সন্তান এস এস সি পাশ করার পর থেকেই সংসারের কাজে জড়িয়ে পড়েছি তবে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমি আমার চেষ্টা অব্যহত রেখেছি, পাখী প্রেমী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি একটি সিগারেট কোম্পানিতে চাকরি করে স্ত্রী ও ২ মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিননিপাত করছি। এর মধ্যে আমি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ ধার দেনা করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতের কবুতর পাখী মোটা অংকে কিনে আমার বাড়ীর এক কনায় সামান্য জায়গায় তৈরি করা পাখী খামারে সংগ্রহ করেছি প্রায় ৪০-৫০হাজার টাকা খরচ করে কবুতর পাখী রাখার খাচা বানিয়েছি।

আনোয়ার জানান বিশেষ করে জায়গা স্বল্পতা অর্থের যোগান এবং বিদ্যূৎ’র অভাবে আমার কবুতর পালনে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে, সে জানায় বর্তমানে তার খামারে ১৩ জাতের প্রায় ১০০ জোড়া,কবুতুর রয়েছে।

এগুলো হলো হলেন্ড, এরহুঘাইট, জেগোবিন, রেডজেগোবিন, সাদালক্ষা, ঘিরাসুলি, লিভারসিরাজি, জামানবিউটি হোমা , বেলজিয়ান হোমাবাবহোমা, রেডকিং, ইওেলো কিং, গিরিবাজ ,ইওলেসিরাজি,বাকসিরাজি, আষ্টেলিয়ন ডাব।

তিনি জানান, সরকারি - বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা ও বাড়িতে বিদ্যুৎ সাহায্য পেলে তিনি কবুতুর পাখীর খামার কাজে অনেক কিছু করার স্বপ্ন দেখেন। তবে বাড়ীতে বিদ্যুৎ না থাকায় শীত কালীন কবুতর প্রজন্ন কম হওয়ায় আর্থিক ক্ষতিগস্ত হচ্ছেন।

স্থানীয় সচেতন মহল জানান, আনোয়ার হোসেন’কে সরকারি-বেসরকারি ও পাখী প্রেমী ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিরা যদি সাহায্যে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন তাহলে তিনি বর্তমান সমাজে পাখী পালনে একজন মডেল হয়ে উঠতে সক্ষম হবেন এবং সমাজের সবাই তাকে অনুকরণ করে পাখী মারা থেকে সরে এসে পাখী পালনে উদ্যোগী হবেন।

এ ব্যাপারে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেন একজন ধার্মিক কর্মঠ পাখী প্রেমিক মানুষ। তিনি ক্ষুদ্র আকারে কবুতুর পাখীর খামার শুরু করে আজ পাখী প্রেমী হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। আনোয়ার হোসেন কে অনুকরণ করা আমাদের সকলের দরকার।

(কেএএস/এএস/নভেম্বর ৩০, ২০১৫)