স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ভারত ও শ্রীলঙ্কা ৬৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে যা ওই সময় থেকে কোনো দুটি দলের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক সাক্ষাত ২০০৮ সালের শুরু থেকে। অবশ্য এই সময়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডও প্রচুর ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু সেটা পাঁচ দিনের ফরম্যাটে (২০টি)। কিন্তু ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচগুলো একদিনের কিংবা টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে। তাই এই দুই দল দুটি পরস্পরের কাছে অন্যান্য দলগুলোর থেকে চেনা প্রতিপক্ষই বটে।

তবে ভারত চেনা প্রতিপক্ষকে পেয়ে যতোটা আয়েশী হতে পারছে, শ্রীলঙ্কা হয়তো তা পারবে না। কারণ, পরিসংখ্যানে গ্যাড়াকলে বেশ পিছিয়ে ১৯৯৭ সালের বিশ্বজয়ীরা। ২০০৮ সাল থেকে ভারতের বিপক্ষে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে অর্থাৎ ওয়ানডেতে ৪৬টি ম্যাচ খেলে ২৯টিতেই হেরেছে মাহেলা জয়বর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারারা। আর জয় ১৭টিতে। অন্যদিকে বিশ ওভারি ক্রিকেটে পাঁচটি ম্যাচ খেলে ২-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে ভারত মহাসাগর পাড়ের দেশটি।


সৌরভ গাঙ্গুলির যুগে ফাইনালে ভেঙে পড়ার যে মানসিকতা ছিল টিম ইন্ডিয়ার তা মহেন্দ্র ধোনির জামানায় অনেকটাই উবে গেছে। কারণ, ২০০৭ সালের পর এমএসডির নেতৃত্বে ১২টি ফাইনাল খেলে ৮টিতেই জয় পেয়েছে ভারত। যার মধ্যে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপও আছে। এর মধ্যে ওয়ানডের সর্বশেষ বিশ্বকাপে এই লঙ্কানদের হারিয়েই বিশ্বজয়ের আনন্দে মেতেছিল ধোনি বাহিনী। তাই ফাইনালের আগে চনমনে হয়ে মাঠে নামতে পারছে ভারতীয়রা। আর ঠিক এই জায়গাটিতেই পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা। তারা গেল এশিয়া কাপের ফাইনাল বাদে আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টের তিনটি ফাইনালে টানা হেরেছে।


(ওএস/পি/এপ্রিল ০৬,২০১৪)