মাগুরা প্রতিনিধি : হত্যা মামলার স্বাক্ষী দেওয়ায় মঙ্গলবার রাতে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরের পর দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালা মাল লুট করে নিয়েছে আসামী পক্ষের লোকজন। আসামীদের অব্যাহত হুমকির মুখে বাদী ও তার পরিবারের লোকজন জীবন বাঁচাতে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনাটি মাগুরা সদর উপজেলার কাপাসাটি গ্রামে।

মামলার বাদী সাইফুজ্জামান সাফি জানান ২০০৬ সালের ১৯ মার্চ রবিবার সকালে স্যালো মেশিন দ্বারা ক্ষেতে পানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে নুরুজ্জামানের সাথে মোস্তফা মোল্যার তর্কবিতর্ক হয়।

এ সময় মোস্তফা মোল্যা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার দলীয় লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অর্তকিত নুরুজ্জামানের মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। প্রতিবেশী আনছার শেখের ছেলে রফিক ও আমিরন নেছা(৬০) ঠেকাতে এলে র্দূবৃত্তরা তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মারধোরসহ কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমিরন নেছা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

আমিরন নেছার পক্ষে মাগুরা বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করায় প্রতিপক্ষরা অব্যাহত হুমকী প্রদান করতে থাকে। শুধু তাই নয় স্বাক্ষীদেরও বিভিন্ন সময়ে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য হুমকী প্রদান করে। এরফলে গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার আদালতে বাদী ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী দেয়ায় সন্ধ্যায় আসামীরা জোটবদ্ধ হয়ে রামদা,ছ্যানদাসহ বিভিন্ন প্রকারের দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার পরিবারের ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে পরিবারের সকল সদস্যদের মারধোর সহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২টা মোটরসাইকেল, ৪টা ফ্রিজ, ১টা কালার টিভি, ৩টা গরু, ১টা টিলার, ৭ ভরি ওজনের স্বর্নের গহনা, নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, শোকেস ৪টা, ধান ১৭৫ মন, আলমারি ৩টা, ড্রেসিং টেবিল ৪টাসহ প্রায় ৩০লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় মামলা না করার জন্যও আসামীদের হুমকী অব্যাহত রয়েছে।

কাপাসাটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ভুক্তভোগী পরিবারে মাত্র এক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা ছাড়া আর কোন সদস্য নেই। বৃদ্ধ ওসমান মাষ্টার জানান ছেলেরা সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মামলা করলে ওরা আমাদের মেরে ফেলবে। আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই।

মাগুরা সদর থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান ঘটনা জানার সাথে-সাথেই আমি ফোর্স পাঠায়। তবে এখনও কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করলে ঘটনাটির তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

(ডিসি/এএস/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫)