মিনারা হেলেন, নিউ ইয়র্ক : প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে আটক বন্দি অভিবাসীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করার ঘোষনা দিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি এক নির্বাচনী প্রচারণায় কারাগারে আটক ৭শত বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীদের মুক্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। হিলারির ব্যক্তিগত সহকারী লরেল প্রাইলির দেওয়া এ খবরে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি সোসাইটির আনন্দ প্রকাশ করেছেন।এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আমরণ অনশনরত বন্দীদের মুক্তির গত বৃহস্পতিবার দাবিতে র‌্যালি ও মানববন্ধনের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান মানবাধিকার সংগঠন ডেসিস রাইজিং আপ মুভিং-ড্রাম। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে হিলারির প্রতিনিধি দল বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে লরেলা প্রাইলি বলেন, আমার নিজেরও এক সময় কাগজপত্র ছিল না। তখন বুঝেছি এ বিষয়টি কতটা কষ্টের।

বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের আইনি সহায়তা ও ইমিগ্রেশন রাইটস নিয়ে হিলারি ক্লিনটনের কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ইস্যুতে ডেমোক্রেটরা সব সময় কাজ করে আসছে এবং করতে আগ্রহী। কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশি বন্দীরা নতুন করে ৪টি কারাগারে অনশন শুরু করে। তাদের মুক্তির দাবিতেই র‌্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ড্রাম। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ফাহাদ আহমেদের নেতৃত্বে এতে অংশ নেন ড্রামের সদস্য ও বিভিন্ন কমিউনিটি নেতারা। কমিউনিটি অর্গেনাইজার কাজী ফৌজিয়া বলেন, রাজনীতিকদের কাছে আমরা জানাতে কারাগারে বন্দীদের দুর্দশা তুলে ধরতে চাই। তারা কি রকম অমানসিক জীবন যাপন করছে তা সবার জানা উচিত। মানববন্ধনে বাংলাদেশ সোসাইটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ইমিগ্র্যান্ট রাইটস নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা কারাভোগ করছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৭শ। গত সেপ্টেম্বরে টেক্সাসের ডিটেনশন সেন্টারে প্রথম আমরণ অনশন শুরু করে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি। তখন থেকেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের চাপের মুখে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন ছাড়া পেয়েছেন।

(এমএইচ/এইচআর/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫)