স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এর গত ২ ডিসেম্বর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন তার আইনজীবীরা।

সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালতে নিজামীর পক্ষে উপস্থিত আছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, শিশির মনির, নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর, ১ ও ২ ডিসেম্বর তিন দিন নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবীরা।

গত ১৭, ১৮ ও ২৩ নভেম্বর নিজামীর আপিল শুনানিতে পেপারবুকের কিছু অংশ পাঠ করেন নিজামীর আইনজীবী এস এম শাহজাহান। গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজামীর আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের রায়ের অংশ পাঠ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে নিজামীর পক্ষে ১ নম্বর অভিযোগের তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি আদালতে পড়ে শোনান অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।

২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির দণ্ড দেন। রায়ে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন নিজামী। মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে এ আপিল করা হয়।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫)