ফরিদপুর প্রতিনিধি : অবশেষে দীর্ঘ কারাভোগের পর ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোকাররম মিয়া বাবু। বাবু মুক্তি পাবার ঘটনা ফরিদপুরে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর কারাগার থেকে বের হন বাবু। এসময় তাকে স্বাগত জানাতে কারা ফটকের সামনে উপস্থিত ছিলেন বাবুর বৃদ্ধা মা, ঘনিষ্ঠ দু’জন আত্মীয় এবং দু’জন সংবাদকর্মী। তবে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীকে এসময় সেখানে দেখা যায়নি। কারাগার থেকে বের হয়েই বাবু একটি মাইক্রোবাসযোগে ফরিদপুর ছেড়ে সালথার উদ্দেশে রওনা হন।

বাবুর আইনজীবী এডভোকেট সরোয়ার হোসেন জানান, উচ্চ আদালতে আপলি করে গত বৃহস্পতিবার বাবুর বিরুদ্ধে দায়ের করা সর্বশেষ মামলায় জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ ফরিদপুরে পৌঁছলে সোমবার সকালে তিনি মুক্তি পান।

উল্লেখ্য, একটি চাঁদাবাজি মামলায় মোকাররম মিয়া বাবু গত ২৩ এপ্রিল আটক হন। এরপর সে মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও একে একে বাবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে আরো ৯টি মামলা দায়ের করা হয়। ফলে কারাগার থেকে বের হতে পারেননি বাবু। ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় বাবুর স্ত্রী নাজনীন ও প্রতিবন্ধী ছোট ভাই লাবুর বিরুদ্ধেও দায়ের করা হয় চাঁদাবাজি মামলা।

বর্তমান এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একসময়ের বিশ্বস্তজন হিসেবে পরিচিত মোকাররম বাবুর গ্রেফতার ও একের পর এক মামলা দায়েরের ঘটনাটি ফরিদপুর আওয়ামী লীগের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা।

কারাগার থেকে বের হয়ে বাবু সাংবাকিদের বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার রক্তের সাথে মিশে আছে আওয়ামী লীগ। সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবো।

(এএস/অ/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫)