গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। তারা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মো. ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী পৌর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. মঞ্জুরী মোর্শেদা।

এর মধ্যে মো. ফারুক আহমেদ বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন ও আর তার স্ত্রী মঞ্জুরী মোর্শেদা স্বতস্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে যাচাই-বাছাই শেষে দু’জনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন গোবিন্দগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার।

গতবার পৌরসভা নির্বাচনে ফারুক আহমেদ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে তিনি ৬ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছিলেন।

এদিকে পৌর নির্বাচনে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার সব শ্রেণীর ভোটারের মধ্যে বিভিন্ন গুঞ্জন ও বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, পৌরসভার সর্বত্র এখন আলোচনার বিষয় পৌরসভা নির্বাচন। এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি।

গোবিন্দগঞ্জ পৌর নির্বাচনে এবার স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আরও ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে- আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান সরকার, জাতীয় পার্টির আখতার হোসেন জুয়েল, ওয়ার্কার্স পার্টির মতিন মোল্লা। এ ছাড়া স্বতস্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- মুকিতুর রহমান রাফি ও জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল কালাম আজাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এ বিষয়ে ফারুক আহমেদ জানান, দলীয়ভাবে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। সে কারণে তাকে মেয়র পদে দেখতে চান এলাকাবাসী। তাই তারা ধানের শীষে ভোট দিয়ে তাকেই নির্বাচিত করবেন বলে আশা করছেন।

এদিকে মঞ্জুরী মোর্শেদা জানান, নির্বাচন করতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছি। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।

অপরদিকে বর্তমান মেয়র পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান সরকার বলেন, ‘চার বছর মেয়র ছিলাম। এবারও পৌরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।’

ভোটাররা জানান, ফারুক আহমেদ দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন। কোনো কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় হয়তো তিনি স্ত্রীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে শেষ পর্যন্ত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে একজনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে তাদের বিশ্বাস।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ২৭ হাজার ৬৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৬১৮ ও নারী ভোটার ১৪ হাজার ২৬ জন।

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৫)