বরিশাল প্রতিনিধি : স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছরেও চিহ্নিত হয়নি পুলিশ ইন্সপেক্টর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীর সমাধি। কেউ খোঁজ নেয়নি ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের। জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমান সিকদারের পুত্র শহীদ গোলাম রব্বানী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল মুহুর্তে পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে যশোর জেলার নড়াইল থানায় কর্মরত ছিলেন গোলাম রব্বানী। ওই সময় সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের জন্য তারা গোপন বৈঠক করেন। স্থানীয় আলবদর ও রাজাকারদের কাছে বিষয়টি জানতে পেরে পাকসেনারা ২১ এপ্রিল নড়াইল থানা আক্রমন করে। এসময় গোলাম রব্বানীসহ অন্যসব পুলিশ সদস্যরা পাকসেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করেন। একপর্যায়ে পরাস্থ হয়ে পাকসেনাদের হাতে আটক হন গোলাম রব্বানীসহ তার অনুসারী পুলিশ সদস্যরা। পরবর্তীতে যশোর সেনানিবাসে নিয়ে গোলাম রব্বানীসহ আটক পুলিশ সদস্যদের গুলি করে হত্যা করে পাকবাহিনী।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীর স্ত্রী জাহানারা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও আমার শহীদ স্বামীর সমাধি চিহ্নিত হয়নি। এটা যেমন আমাদের কাছে বেদনাদায়ক, তার চেয়েও বেশি কষ্টদায়ক হচ্ছে আজো আমার স্বামীর বীরত্বগাঁথার ইতিহাসকে কোথাও স্থান দেয়া হয়নি। তিনি তার শহীদ স্বামীর নামে যশোর অথবা বরিশাল পুলিশ লাইনের অভ্যন্তরে একাডেমিক ভবন কিংবা সড়কের নাম করণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহা-পরিদর্শকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

(টিবি/এইচআর/ডিসেম্বর ১০, ২০১৫)