মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকালে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মহুয়া আক্তার (২১) নামের মেডিকেল কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তবে নিহতের পরিবারের দাবি সে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের ময়না তদন্ত করাতে রাজি নয়। তাই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য না নিয়ে পুলিশ থানায় চলে আসে।

পুলিশ, পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা জানা যায়, কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এটিও মো. কাদের কাজী ও ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা বেগমের পঞ্চম সন্তান বরিশাল মেডিকেল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মহুয়া আক্তার।

বৃহস্পতিবার সকালে মহুয়ার লাশ তার নিজ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার পরিবারের লোকজন। এসময় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত করতে না দেয়ায় কালকিনি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াদুদ মিয়া সঙ্গিয় র্ফোস নিয়ে থানায় চলে যায়।

পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তারী পড়ায় বেশি চাপ। তাই সে ঐ চাপ সইতে না পেরে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

অপরদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকাবাসী ও তার এক আত্মীয় জানায়, বুধবার রাতে এ ছাত্রীর মা ও বড় ভাই ডাক্তার তানবির আহম্মেদ রাসেল শারিরীক নির্যাতন করে। সেই অভিমানে সে আত্মহত্যা করতে পারে। তাছাড়া কয়েক বছর আগে তার বড় বোনও বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।
মহুয়া আক্তারের মা-বাবা বলেন, আমার মেয়ের সাথে কার কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিলনা। সে আমাকে মাঝে মাঝে বলতো মা আমি এত পড়া পড়তে পারবনা। ডাক্তারী পড়া বেশী। তাই সে চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।

কালকিনি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াদুদ মিয়া বলেন, আমি লাশ ময়না তদন্তের জন্য আনতে গেলে মেয়েটির বাবা-মা ময়না তদন্ত না করার জন্য জেলা প্রশাসক থেকে অনুমতি আনবেন বলে আমি চলে এসেছি।

আত্মহত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ডাক্তারী পড়া মাথায় ঢুকে না। বিধায় পরিবারের অজান্তে সে সকালে আত্মহত্যা করেছে।

(এএসএ/এএস/ডিসেম্বর ১০, ২০১৫)