গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনী, আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের হাতে নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞের একমাত্র কালের স্বাক্ষী গোয়ালের ঘাট বধ্যভূমি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৪ বছর অতিবাহিত হলেও সংস্কার ও মেরামত করা হয়নি এই বধ্যভূমি। অযত্ন, অবহেলায় দিন দিন বধ্যভূমিটি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। একদিকে তিস্তার কড়াল গ্রাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বধ্যভূমির একাংশ।

অপরদিকে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না থাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালায় ঢেকে যাচ্ছে দৃশ্যপট। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গোটা সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাক হানাদার বাহিনী নিরীহ মা-বোনদের ধরে নিয়ে এসে সম্ভ্রমহানি করে নৃশংসভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে লাশ ফেলে রাখে ওই গোয়ালের ঘাট বধ্যভূমিতে।

সুন্দরগঞ্জে গোয়ালের ঘাটসহ ৩টি বধ্যভূমি রয়েছে। যার একটিও সংরক্ষণ হয়নি আজও। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

(আরআই/এএস/ডিসেম্বর ১১, ২০১৫)