স্টাফ রিপোর্টার : প্রাইম ব্যাংকে ৯৫ কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির ১৬ কর্মকর্তাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এছাড়া চার্জশিটে ব্যাংকটির ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্তে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার কমিশনের নিয়মিত সভায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়। শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে জানায় দুদকের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র।

রাজধানীর দিলকুশায় প্রাইম ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং শাখাসহ বেশ কয়েকটি শাখা থেকে বিভিন্ন হিসাবের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ভুয়া ঋণগ্রাহক দেখিয়ে ওই টাকা হাতিয়ে নেয় আসামিরা।

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০২ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০ বছরে প্রাইম ব্যাংকের দিলকুশা শাখার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার কামরুল আহমেদ ফেরদৌস ব্যাংকটির আইটি সিস্টেম, নিজের পাসওয়ার্ড এবং ওই শাখার সংশ্লিষ্ট অপর কর্মকর্তার পাসওয়ার্ড কৌশলে ব্যবহার করেন। বিভিন্ন জনের সহযোগিতায় বিভিন্ন ভুয়া ঋণগ্রাহক দেখিয়ে ৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৯০৩ টাকা তুলে আত্মসাত করেন।

প্রাথমিকভাবে ৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১২ সালের ২৯ মার্চ প্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন বাদী হয়ে ব্যাংকের ওই শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আহমেদ ফেরদৌসকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

পরে মতিঝিল থানা পুলিশ মামলাটি দুদকের তফসিলভুক্ত এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকায় তদন্তের জন্য মামলাটি দুদকে পাঠিয়ে দেয়।

পরবর্তীতে দুদকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা মামলাটির তদন্ত শেষ করেন। তদন্তে ৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৯০৩ টাকা আত্মসাতের সঙ্গে ৩৮ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। যার মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের ১৬ জন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ ২২ জন।

(ওএস/এটিআর/মে ২৮, ২০১৪)