নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ শহর থেকে অপহরনের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ নিশি আকতারকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। এদিকে নাবালিকা কন্যার ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে শঙ্কিত নিশির মা-বাবাসহ স্বজনরা।

নওগাঁ সদর থানায় দায়েরকৃত এজাহারের সুত্রধরে জানা গেছে, নওগাঁ সেন্ট্রাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী মোছাঃ নিশি আকতার (১৩) শহরের চকপ্রাণ তালতলী এলাকার মোঃ হারুনুর রশিদের কন্য্য। হারুনুর রশিদ মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাটের ইজাদারের একজন কর্মচারী হিসেবে খাজনা আদায় করেন। গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৫টায় নিশি তার কক্ষে পড়ালেখা করছিল এবং তার মা অন্যঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের বাবু মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম তার ভাই ও পিতার সহযোগিতায় মটরসাইকেলে করে জোরপূর্বক নিশিকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। নিশির মা এসময় বন্ধ ঘরের জানালা দিয়ে চিৎকার করলে পাশের কতিপয় লোকজন ছুটে আসেন। কিন্তু তার পূর্বেই রবিউল মোটরসাইকেলযোগে নিশিকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে চলে যায়।

নিশির বাবা হারুনুর রশিদ সংবাদ পেয়ে হাট থেকে দ্রুত বাড়িতে এসে বিভিন্নস্থানে মেয়েকে খোঁজাখাুজি করেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে অবশেষে পরদিন ৫ ডিসেম্বর নওগাঁ সদর মডেল থানায় উক্ত রবিউল ইসলাম, তার বাবা বাবু মন্ডল এবং দুই ভাই রনি মন্ডল ও রুবেল হোসনেকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেন।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন নিশি প্রেমের টানে রবিউলের হাত ধরে এবার দ্বিতীয়বারের মত উধাও হয়েছে। এর আগেও নিশি প্রেমিক রবিউলের হাত ধরে পালিয়ে গেলে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন তাকে উদ্ধার করে মা-বাবার হেফাজতে দিয়েছিল। কিন্তু এই দ্বিতীয়বারের মত পালানোর ঘটনা এলাকাবাসী প্রেমের টানে ঘরছাড়ার বিষয়টিকেই অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ জাকিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিশি আকতারকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। খুব শিঘ্রী তাকে উদ্ধার করে পিতামাতার হাতে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

(বিএম/এইচআর/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫)