টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী কুর্শাবেনু গ্রামের জন সাধারণ নিজেদের উদ্যোগে নদীর তীর বাধার প্রকল্প হতে নিয়েছে। এ বছর নদী ভাঙ্গনেও এ গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন গয়ে গেছে। এ কারনে ধলেশ্বারীর করাল গ্রাস হতে রক্ষা পেতে তারা নদীর তীর ক্রমশ ঢালু করে বাধ সৃষ্টি করছে।

স্থানীয়দের মতে অপরিকল্পিতভাবে নদী খননের ফলে খরস্রোতা ধলেশ্বরীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রতিবছর শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গনকবলিত এসব গ্রামবাসি সরকারী তেমন কোন সহযোগিতা পায়নি বলে জানান।

এ ব্যাপারে ওই গ্রামের ভাঙ্গনের ফলে গৃহহীন হাবিবুর রহমান শেখ জানান, গত বর্ষায় নদী ভাঙ্গনের ফলে তার ঘর-বাড়িসহ সর্বস্ব বিলীন হয়ে গেছে। এতে তার প্রায় কোটি টাকার সম্পদ ধলেশ্বরী গ্রাস করে নিয়েছে। এখন তিনি সরকারী জায়গাতে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

অপর ক্ষতিগ্রস্থ নুরুল হক সিকদার জানায়, ৫ মাস পূর্বে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর অদ্যাবধি ঘর নির্মাণ করতে পারি নাই। সরকারী নদী খনন প্রকল্পের ফলে স্থানীয় একটি মহল অপরিকল্পিতভাবে খনন কাজ করে মাটি বিক্রির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। গৃহহীন আজিজুর রহমান (৪৫) জানায় বালু খেকোদের অর্থলিপ্সার কারনে এ গ্রামের মানুষ প্রতি বছর গৃহহীন হয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, মুল নদী খনন না করে তারা জনসাধারনের তপসীলি ভূমিতে খননের পরিকল্পনা করছে। প্রান গেলেও আমরা আমাদের পৈতৃক ভুমিতে খনন করতে দেব না। তিনি সরকারী পরিকল্পনা মাফিক মুল নদী খননের দাবি জানান।

এছাড়া কুর্শাবেনু গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ বজলু (৩৫),আঃ আজিজ (৯৯), বেল্লাল (৪০), লোকমান মন্ডল (৪৮), জাহাঙ্গীর মন্ডল (৩০), হাবিব মন্ডল (৫০), শফিকুল খান (২৮), শাহাআলম (৪৮), রিপন খান (৩৫), রফিক খান (৪২), সবুর সিকদার (৪০), আজিজুল মাষ্টার (৪৫), সিদ্দিক (৫৫), আঃ আজিজ (৬০), ও হাজী সিরজিুল ইসলাম একই দাবি জানান।

এ বিষয়ে স্থানীয় গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউল আলম তালুকদার গ্রামবাসির স্বতস্ফুর্ত এ উদ্যোগের প্রশংসা করে সাধ্যানুসারে তার সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

(আরপি/এইচআর/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫)