শরীয়তপুর প্রতিনিধি প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ৫টি পৌরসভার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে আ‘লীগের ৫ বিদ্রোহীসহ মোট ৬ জন মেয়র প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এক প্রার্থীর মনোনয়ন জোর করে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে শরীয়তপুর থেকে দুই দফায় বাতিল হওয়ার পরে উচ্চ আদলতের রায়ে মনোনয়ন পত্রের বৈধতা পেয়েছেন শরীয়তপুর সদর পৌরসভার সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। এছারাও ৫ পৌরসভায় মোট ১৮ জন কাউন্সিলর তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।

শরীয়তপুর নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৫টি পৌরসভায় এবছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চুন্নু ও মো. শামসুদ্দিন বেপারী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই পৌরসভায় মোহাম্মদ আলী বেপারী নামে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীও তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। জাজিরা পৌর সভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবু ফকির তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ডামুড্যা পৌরসভায় রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল দলীয় নেতাদের অনুরোধে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করার খবর পাওয়া গেছে। ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল বাশার চোকদারের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তার স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা মিতু অভিযোগ করেছেন, ভোর ছয়টার সময় ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাশের পুলিশ এসে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে জোর করে তার মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করানো হয়েছে।

এদিকে জেলার পাঁচ পৌরসভায় মোট ১৮ জন কাউন্সিলর তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর তথ্য পাওয়া গেছে। তারা হলেন, শরীয়তয়পুর সদর পৌরসভার রুহুল আমিন তালুকদার, ইদ্রিস আলী পাহাড়, আবুল হোসেন হাওলাদার, ইলিয়াস মকদম, শাহজাহান মোল্যা, আমির আলী সরদার ও শাহাদাদ হোসেন ছৈয়াল। জাজিরা পৌরসভায় মো. দানেশ খাঁ, আবুল হাশেম ও রুজিনা বেগম। ভেদরগঞ্জ পৌরসভায় মো. আলী আজম, মনোয়ার হোসেন ও ইখলাছ উদ্দিন এবং ডামুড্যা পৌরসভায় মো. আলমগীর হোসেন, মো. হাবিবুল বাশার ও আব্দুল মতিন তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নির্বাচনী লড়াই থেকে বিরত রয়েছেন।

(কেএনআই/এইচআর/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৫)