মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ মেয়রপ্রার্থীসহ ৪৬ জন অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী প্রতিক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনিতপ্রার্থী এনায়েত হোসেনকে নৌকা প্রতিক দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে জগ, মশিউর রহমান সবুজকে নারিকেল গাছ ও মো. লোকমান হোসেনকে মোবাইল ফোন প্রতিক দেয়া হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলনের মনোনিত প্রার্থী মো. লুৎফর রহমানকে হাত পাখা প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১.২.ও ৩নং ওয়ার্ডে ফুলমতি বেগমকে কাচি, মইফুল বিবিকে আঙ্গুর ও রাশিদা বেগমকে ভ্যানিটিব্যাগ, ৪. ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে বিলকিছ বেগমকে কাচি ও হাসিনা বেগমকে আঙ্গুর এবং ৭. ৮. ও ৯নং ওয়ার্ডে আসমা খাতুনকে আঙ্গুর, চায়না খানমকে ভ্যানিটিব্যাগ ও রাজিয়া খাতুন রেখাকে কাচি প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

আর সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১ নং ওয়ার্ডে মফিজুর রহমানকে ডালিম, মো. আকমল বেপারীকে উটপাখি ও মো. নাসির উদ্দিন সিকদারকে পানির বোতল, ২ নং ওয়ার্ডে অলিলকে উটপাখি, কাবিল বেপারীকে পানির বোতল, নুরুল হুদাকে ডালিম ও মো. আরমান হোসেন বেল্লালকে পাঞ্জাবী, ৩ নং ওয়ার্ডে বি.এম তোফাজ্জেল হোসেন দাদনকে পাঞ্জাবি, মো. জামাল বেপারীকে উটপাখি, মো. তোফাজ্জল হোসেনকে ডালিম ও মো. শাহা আলম চৌকিদারকে পানির বোতল, ৪নং ওয়ার্ডে এমদাদ হোসেনকে পানির বোতল, ডলি রহমানকে উটপাখি, মফিজুল হাওলাদারকে পাঞ্জাবী, মেসবাহুল হককে টেবিল ল্যাম্প ও মো. রুহুল আমিনকে ব্রীজ, ৫ নং ওয়ার্ডে বেলায়ত হোসেনকে ডালিম মো. ইউনুস মিয়াকে উটপাখি ও মো. জসিম উদ্দিন বেপারীকে পানির বোতল, ৬নং ওয়ার্ডে আছমত বেপারীকে ডালিম, দেলোয়ার হাওলাদারকে পাঞ্জাবী ও মো. হারুন মৃধাকে উটপাখি, ৭নং ওয়ার্ডে মো. ইউনুস আলী হাওলাদারকে পাঞ্জাবী, মো. গোলাম মোস্তফাকে উটপাখি ও মো. লোকমান হোসেনকে পানির বোতল, ৮ নং ওয়ার্ডে মো. মেহেদি হাসান মামুনকে পানির বোতল, ইমরান হোসেনকে ডালিম, হাবুল চৌকিদারকে উটপাখি ও মো. ফারুক হাওলাদারকে পাঞ্জাবী, ৯ নং ওয়ার্ডে মতলেব হাওলাদারকে পানির বোতল, মো. আলাউদ্দিন তালুকদারকে ডালিম, মো. নাসির উদ্দিনকে উটপাখি ও মো. মুন্না খন্দকারকে পাঞ্জাবী প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই কোন প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

(এএসএ/এএস/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫)