পটিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলায় চাঞ্চল্যকর  স্কুল ছাত্রী মুক্তা মুখার্জীকে ধর্ষন ও হত্যা মামলা প্রধান আসামী পলাশ ভট্টাচার্য (২৭) বুধবার  পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পুলিশ আসামী পলাশের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

জানা যায় এ ঘটনায় দৈনিক সংবাদ সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী বরাদ দিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনার পর পর ঘাতক পলাশ কুমার ভট্টাচার্য পালাতক হয়ে যায়। এতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, প্ল্যান বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি একটি তদন্ত টিম সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনÍ একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন।
জানা যায় উপজেলার গৈড়লা কে.পি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী মুক্তা মুখার্জী(১৫) তার বাপের বাড়ী বাঁশখালী উপজেলার সাধন পুর গ্রামের পদীপ মুখার্জীর কন্যা। গত ১৮/২০ বছলর আগে পটিয়া উপজেলার গৈড়লা গ্রামের বাবুল ভট্টাচার্য্যর মেয়ে বাপ্পী মুখার্জীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর পারিবারিক কলহের কারনে বাপ্পী মুখার্জী বাপের বাড়ীতে চলে আসে। বাড়ীতে চলে আসার পর বাপ্পী মুখার্জী তার মেয়ে মুক্তা মুখার্জীকে মেয়ের নানার বাড়ীতে রেখে চট্টগ্রাম শহরে গার্টমেন্ট এর চাকুরী করেন। ঘটনার দিন গত ২৬ মার্চ রাতে মুক্তার মা ও নানী তারা মুক্তা মুখার্জীকে ঘরে একা রেখে তারা কয়েকদিন আগে বেড়াতে যান। এ সুযোগে মুক্তাকে একা পেয়ে তার আপন মামা পলাশ কুমার ভট্টাচার্য ধর্ষণ করে হত্য্যা করেন। এসময় চিৎকার করতে চাইলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে এলাকায় ফাঁস হওয়ার আগে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর এমব্যুলেন্স নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গ্রাম থেকে রাতের আধাঁরে গোপনে লাশ চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে বুলওয়ার দীঘিস্থ এলাকায় গ্যাসের চুলায় পুড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকরা করেছেন এমব্যুলেন্স চালক জাকির হোসেন, প্রতিবেশী অলক কুমারা ভট্টাচার্য্য,রাম প্রসাদ ভট্টাচার্যসহ ৪জন ব্যাক্তি। আপন ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে মুক্তার মা প্রথমে পুলিশকে মিথ্যা দিলে বিভ্রান্তি শুরু হয় পরে সাক্ষিদের মাধ্যমে মুক্তার মা কথা মিথ্যা প্রমানিত হয়।
। ঘটনার দিন তারা কেউ ঘরে ছিল না । তারা না থাকলেও ঘরে ছিল বলে এক সময় একক কথা বলে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে অনেক তথ্য বের হবে ও বলেও জানান। গত বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তদন্ত টিম সরেজমিনে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে মুক্তার মা নানী প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তৎপর বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন পুলিশ বাদী হয়ে মামলা পলাশকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ডে আনা হবে।
(এনআই/এএস/মে ২৮, ২০১৪)