বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫২ নং সীমান্ত পিলারে গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকাল ৯টার দিকে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) বাংলাদেশ সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে।

গুলি বর্ষনের ঘটনা স্বীকার করে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি’র ৩১ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বিজিবি’র একটি টহল দল দোছড়ি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় টহল দেয়ার সময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে মায়ারমার সীমান্ত থেকে গুলি বর্ষণ করে। সীমান্তের ওপার থেকে মায়ানমার সেনা বাহিনী নাকি বর্ডার গার্ড পুলিশ গুলি বর্ষন চালিয়েছে সে বিষয়ে আজ বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সুত্র জানায়, দোছড়ি ইউনিয়নের লেবুছড়ি ৫২ নং পিলারের কাছে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি’র টহল দলের সদস্যদের লক্ষ্য করে অর্তকিত গুলি বর্ষন করে। এতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি’র টহল দলের সদস্য ল্যান্স নায়েক মিজান গুলিবিদ্ধ হয়। অর্তকিত গুলিবর্ষনের কারনে বিজিবি’র সদস্যরা পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলেও ল্যান্স নায়েক মিজান আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে। মায়ারমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্যরা আহত বিজিবি সদস্য মিজানকে মায়ানমার নিয়ে গেছে বলে স্থানীয় সুত্র গুলো দাবী করছে।
অপরদিকে বিজিবি‘র এডি মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন। প্রকৃত ঘটনা কি ঘটেছে তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জানা যাবে। তবে ল্যান্স নায়েক মিজানের বিষয়টি বিজিবি অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি দোছড়ি সীমান্ত এলাকায় মায়ানমার বিচ্ছিন্নতাবাদী সদস্যদের সাথে মায়ানমার সেনা বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
(এএফবি/এএস/মে ২৮, ২০১৪)