বাগেরহাট প্রিতিনিধ : বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়ন নিকাহ্ রেজিষ্টার (কাজী) নুরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে পাত্রের অনুপস্থিতিতে ভূয়া রেজিষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাত্রের স্বাক্ষর জাল করে ওই ভূয়া ওই রেজিষ্ট্রি কাবিনের প্রতিলিপি দিয়ে কন্যা পক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করলে রেজিষ্ট্রির কথা প্রকাশ পেয়ে যায়।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের আঃ কাদেরের ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে একই উপজেলার শোলারকোলা গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে তাসলিমা বেগমের সাথে ২০০৩ সালে বিয়ে হয়। অসামাজিক কার্যকালামসহ বিবিধ অভিযোগে একাধিকবার শালিশ বৈঠক হলেও তাসলিমা পরিবর্তন না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১৫ জুন সাইফুল তাকে রেজিষ্ট্রি তালাক প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাসলিমা নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে তাসলিমা এবছরের ২৪ আগষ্ট যৌতুক আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাথে পুনরায় তাদের সাথে ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছে বলে একটি প্রতিলিপি ( নকল) জমা দেয়। সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি কোন কাজীর কাছে গিয়ে কখনও পুনরায় বিয়ে করেননি। তাছাড়া উলেখিত তারিখে তিনি তার চাকুরীস্থল পটুয়াখালীতে অবস্থার করেছেন। তার স্বাক্ষর জালজালিয়াতি করে কাজী এই নকল (প্রতিলিপি) প্রদান করেছে। এবিষয়ে বিবাদী (পাত্র) পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আনিছুর রহমান ও তার সহযোগী এ্যাড. ইমরান ওই কাজীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিয়ে রেজিষ্ট্রি এবং কোন প্রতিলিপি প্রদান করেননি বলে জানান।

জেলা নিকাহ্ রেজিষ্টার মনিরুল ইসলাম জানান, এধরনের ঘটনা তিনি জানেন না। তবে পাত্রের অনুপস্থিতিতে বা তার স্বাক্ষর ছাড়া নিকাহ রেজিষ্ট্রির কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এসএকে/এইচআর/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫)