নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাট হাসপাতালে ডাক্তারের দূর্ব্যবহারে ভেঙ্গে পড়েছে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা। চিকিৎসার পরিবর্তে রোগীদের ভৎর্সনা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে ডাক্তার স্বয়ং।

এমনই অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের ২নং বেডের রোগী জামিলা খাতুন (৪৫)। ৩নং বেডের ভর্তি রোগীর মা রেজিনাও তিরস্কারের অভিযোগ করেন। হাসপাতালের বদমেজাজী ডা. আতিক সকল রোগীর সঙ্গে একই দুর্ব্যবহার করেন এমন অভিযোগ হাসপাতালের সর্বত্রই।

ভুক্তভোগী জামিলা খাতুন ডাক্তারের ভৎর্সনার কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানান, ডা. আতিক শুক্রবার সকালে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে শাসন-গর্জনের স্বরে বলেন, ‘বাপের হোটেলে ফ্রি ভাত খাওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন? বাড়ি যেতে পারেন না? থানার মোবাইল নম্বর থাকলে পুলিশে ধরিয়ে দিতাম”।

একজন ডাক্তারের এমন হুমকির ঘটনায় শুধু রোগীরাই নয়, সাধারন মানুষও বিষ্মিত। ওই ওয়ার্ডের ৫নং বেডের ভর্তি দুলালী (৬০) নামে এক রোগীর ফাইল হাতেই ধরেননি বলে রোগী অভিযোগ করেন। সেবার পরিবর্তে ডাক্তারের কাছ থেকে এমন শাসন হুমকিতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রোগী নিজেই হাসপাতালে ছেড়ে পালিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. আতিক মুঠো ফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, ওই রোগী সুস্থ হওয়ার পর তাকে ডিশ্চার্জ করতে চাইলে তিনি যেতে চান না। ‘এভাবে কতদিন থাকবেন, বাড়ি চলে যান’ এই কথাটুকু একটু উচ্চস্বরে বলা হয়েছে তাই’। তবে ডাক্তারের এমন আচরনে ওই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার এখন বেহালদশা বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের কয়েক কর্মচারী জানিয়েছেন।

(বিএম/এইচআর/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৫)