নাটোর প্রতিনিধি : এনজিওর ঋণের দায় থেকে মুক্তি পেতে অপহরণ নাটক সাজিয়েও রক্ষা পেলনা নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকোল বাজারের ডক্টরস ক্লিনিকের মালিক এমদাদুল হক আনিস। নিজেই নিজের পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকার মুক্তি পণ চেয়ে  অপহরণের নাটক করে ফেঁসে গেছেন। অবশেষে বুধবার দুপুরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।

পুলিশ জানায়,গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ক্লিনিক মালিক এমদাদুল হক আনিস মোটরসাইকেল নিয়ে আহম্মেদপুর থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে তার শ্বশুর নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে অপহরণের অভিযোগে নাটোর সদর থানায় বুধবার মামলা দায়ের করেন।

এদিকে আনিস রাজশাহী এলাকায় নিজেকে আত্মগোপন রেখে অজ্ঞাত ব্যাক্তির পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বাবা মোজাহার আলীর কাছে বিকাশের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপরদিকে আনিসের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর পুলিশ তার সন্ধানে অভিযানে নামে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাজশাহীর ভদ্রা এলাকার একটি বাড়ি থেকে কথিত অপহৃত ক্লিনিক মালিক ওমদাদুল হক আনিসকে প্রথমে উদ্ধার করে। পরে প্রতারণার অভিযোগে আটক করা হয়।

আটককৃত আনিস জানান,বিভিন্ন এনজিও থেকে নেওয়া প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋন নিয়েছেন। কিন্ত ওই টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তিনি এই অপহরণ নাটক সাজিয়ে পরিবারের কাছে থেকে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণের অজুহাতে হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। মুক্তিপণের ওই টাকা ঋনের টাকা পরিশোধ করতেন।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা অপহৃত ক্লিনিক মালিক আনিসকে উদ্ধারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়েছেন। তাকে উদ্ধারের পর তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমআর/জেএ/মে ২৯, ২০১৪)