এলিজি ফর দাদু

প্রতিবার ত্রিশ অক্টোবরের পরে-
তোমাকে মনে পড়ে

যখন পৌষের শীত কাঁপায় উন্মূল
তোমার উলের মোজা, শীতবস্ত্রসব
আমাদের প্রাচীনঝুরি থেকে বেড়িয়ে পড়ে। আর

হু হু করা বাতাসের সাথে-
তুমিও ঢুকে যাও আমাদের প্রতিটি শরীরের রোমকূপে

আরেকটা বছরের জন্য


এই পরাজয়

ঘুম না এলে
রাত্রির শোকেস থেকে নামিয়ে আনি
রোদের গন্ধমাখা শীতসকাল

অথবা তোমাকে যে চিঠি লিখবো লিখবো করেও
লিখিনি
তার মস্তিস্কলিপির খসড়া

হিশেব মিলে না
ঘুমের বদলে
কারো মুখ
রাত্রির ভিতর থেকে
ব্যঙ্গ করে

এই পরাজয় আমি সমস্তটা জানি

মানুষের সম্পর্কগুলো

মানুষের সম্পর্কগুলো অদ্ভুতুড়ে -
কাল যে লোকটা তার এক খদ্দেরের কথা বলতে বলতে
বিগলিত অশ্রুর কাছে নতমুখি হলেন, তিনি
এর আগে কোনোদিন আর
দেখিনি এরকম নরোম পালকের মন আদ্র হতে তাকে

আর যে লোকটা গতকাল সিনেমা বিষয়ে নাতিদীর্ঘ কথার ফাঁকে
জানালো তার রঙিন অথচ ফ্যাকাসে জীবন
তার কথা ভেবে আমি আকুল হয়েছি একবিকেলের সমস্তটা

একটা বন্ধু ছিলো আমার, স্কুলে, যেরকম হয় আরকি
তার অসমাপ্ত বেকার জীবনের দূর্বিসহ গল্প সেলের পর্দা ভেদ করে
আমার মর্মমূলে ঢুকে গেলে
বিরহিনী চোখ তার প্রেমিক জীবনের জন্য কেদেছিলো অপার
আর কিছুদিন পর সেই বেকার জীবন আকার হলে
তার গল্পগুলোতে স্রেফ ধান্ধাবাজ এক ইতরের ছবি ভেসে ওঠতে দেখেছি

এইসব জীবন
এবং আরো আরো জীবনেরা
কখনো একপলক আলোর নীচে ঝলসে ওঠা
মানুষের মুখোশ হয়ে রয়

জন্মের পাপ

এই হুহু করা বিকেলেরা
বিদ্ধ করে যায়
তোমার আছায়া

বিপরীতে বসে
এসব দীনতা
আমাকেও বিদ্ধ করে
জন্মের পাপ