এ কবিতা ছাপা যাবে না


বড়ো সাধ হয়েছিলো বাঁচবার।
শরীরটা ঠেলে দিয়ে সকালের রোদের ভেতর
চায়ের পেয়ালার বাড়ানো ঠোঁটে রেখে ঠোঁট, দেখবো-
বৃক্ষেরা মূল থেকে উর্ধে ছড়ায় রস
সবুজ পাতার রক্ত নালীতে; কীভাবে
গোলাপের কলিগুলো ক্রমশই ফুল ওঠে
কাঙালী ভোজে মাছিরা ব্যস্ত সব
কুকুরের দগদগে ঘা আর কানের ভেতর;
আমি কি জানতাম, ওসব আর নেই এখন!
নয়নাভিরাম দৃশ্য সব ফুরিয়েছে
কবেই কখন!

এখন কেবলই মৃতদের সময়, পথে-ঘাটে শুধু
মৃতেরা ঘুরে বেড়ায়, রূপালী ইলিশেরা
অভিজাত ফ্ল্যাটে সীমান্তের অপার চিতায়
এপথে ওপথে যৌবন খুইয়ে বেপথো
যুবক রুগ্ন মিছিলে, আমি কি জানতাম!
সকালের সোনা রোদ সর্বভূক রাতের
অন্ধকার পেটে, আজ কেবল স্মৃতি;

কুয়াশার নরোম আদরে দু’পায়া পথের দেহ
ফেটে চৌচির, অশ্রাব্য অস্থির দানব শকটে।
এখন রাত হলেই চিৎকার করে উঠি
আবারো বেঁচে ওঠার যন্ত্রণায়।
সম্পাদক বললেন, ‘এ কবিতা ছাপা যাবে না,
এ বড়ো নিমর্ম- সত্য বেঁচে ওঠার কবিতা’।