সোনাগাজী প্রতিনিধি : দেশের সর্ববৃহৎ চলমান প্রকল্প “পদ্মা সেতু’’তে শ্রমীক পদে চাকুরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফেনী ৩ (সোনাগাজী-দাগনভুঞা ) আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ ও তার ব্যাক্তিগত সহকারী জুলফিকার মাসুদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাজেস চৌধুরীর আমলী আদালতে মামলা রুজু করেছেন সোনাগাজী উপজেলা পর্যটনলীগের সভাপতি ও সোনাগাজী বাজারের ব্যাবসায়ী মোঃ শহীদুল্যাহ।

জানা যায়, গত ২০১৪ সালের মার্চে পদ্মা সেতুতে শ্রমীক পদে চাকুরি দেয়ার নাম করে ওই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সোনাগাজী উপজেলার চর ছান্দিয়ার শফিক উল্যাহ, শাহ আলম, আহসান উল্যাহ, শহীদুল ইসলাম, ইসমাইল, সাইফুল ইসলাম, নয়ন, হারুন, দাগন ভুঞা উপজেলার সিন্দুর পুরের এমদাদ, ডালিমসহ দুই উপজেলার ২০-২৫ ব্যাক্তির কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা হারে আদায় করে স্থানীয় সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ, তার ব্যাক্তিগত সহকারী জুলফিকার মাসুদ ও হাসান মাহমুদ ।

সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন পরও পদ্মা সেতুতে ভুক্তভোগিদের চাকুরি না হওয়ায় সাংসদের বাড়ীতে গিয়ে উক্ত টাকা ফেরত চাইলে সাংসদ ও তার সহকারীবৃন্দ তাদেরকে লাঞ্চিত করে।

মামলার বাদী পর্যটনলীগ নেতা শহীদ উল্যাহ জানান, তার নিকট আত্বীয় স্থানীয় সাংসদ রহিম উল্যাহর কথায় বিশ্বাস করে উচ্চ বেতনের আশায় এলাকার ২০-২৫ জন বেকার লোকদের কাছ থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন । কিন্তু গত দেড় বছরেও তাদের চাকুরি মিলেনি । অবশেষে টাকা আদায় করার জন্য মামলা করতে বাধ্য হলাম।

এ ব্যাপারে সাংসদ রহিম উল্যাহর ব্যাক্তিগত সহকারী জুলফিকার মাসুদ জানান, সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহর মান হানি করার জন্য একটি কুচক্রিমহল শহীদুল্যাহকে প্রভাবিত করে হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মামলার আদেশ জানা যায়নি।

(এসএমএ/এইচআর/ডিসেম্বর ২২, ২০১৫)