সিলেট প্রতিনিধি : সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আদালতে কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ফের পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ।

কোনো সাক্ষী না থাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। ২০১৬ সালের ৬ ও ৭ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে বুধবারও একই কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ সময় আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়া কারাবন্দি অন্য ১২ আসামি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ১০ ডিসেম্বর তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কিশোর কুমার কর জানান, কারাবন্দি ১৪ আসামির মধ্যে হবিগঞ্জ পৌর সভার বরখাস্ত মেয়র জিকে গৌছসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আগামী বছরের ৬ ও ৭ জানুয়রি পরবর্তী তারিখ ধার্যি করেন।

৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

১৩ সেপ্টেম্বর মামলার সব আসামির উপস্থিতিতে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিক’র বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত মেয়র জিকে গৌউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জগঠন করেন।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন। এ হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ১৪ জন কারাগারে, ৮ জন জামিনে এবং ১০ জন পলাতক রয়েছেন।

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫)