।। প্রবীর সিকদার ।।


১৯৭৫-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবকে সপরিবারে খুন করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানের মোড়কে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। ঘাতক শিরোমণি গোলাম আযমকে ফিরিয়ে এনে শুধু নাগরিকত্ব নয়, নরঘাতক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ চেতনা বিরোধীরা সদম্ভে নিয়ন্ত্রণ করেছে দেশ, দেশের রাজনীতি। রাজাকার- মুক্তিযোদ্ধার ঐক্য ফ্রন্টও হয়েছে !

কি হয়নি ১৯৭৫-১৯৯৬ সময় কালে ! চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী শর্ষীনা পীর সৈয়দ আবু জাফর সালেহকে ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা পদক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু খুনের নাটের গুরু জে. জিয়া।

তারপর সময় গড়িয়েছে ৩৫ বছর। দীর্ঘ সময়ের পথপরিক্রমায় আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকার প্রধান। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, হচ্ছে ফাঁসিও। অথচ এখনো বহাল চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী শর্ষীনা পীর সৈয়দ আবু জাফর সালেহর স্বাধীনতা পদক! একদিকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-ফাঁসি, আরেক দিকে স্বাধীনতা বিরোধীর পকেটে স্বাধীনতা পদক, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তান হিসেবে আমি দাবি করছি, অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী শর্ষীনা পীরের স্বাধীনতা পদক। দেশবাসী প্রত্যাশা করতেই পারেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার অবশ্যই প্রত্যাহার করে নিবেন স্বাধীনতা বিরোধী শর্ষীনা পীর সৈয়দ আবু জাফর সালেহর স্বাধীনতা পদক।

(এসএস/অ/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫)