স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : সমাজ থেকে রাজনৈতিক ক্যান্সার আগে দূর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম বলেন, আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে বিএনপির কি লাভ হয়েছে? তারা কি পেয়েছেন? বিরোধী দলের পদটিও তারা পাননি। তারা ভুল করেছে। এখনও তারা কি আবারও সেই রাজনীতি করতে চাইছেন? এটা রাজনৈতিক ক্যান্সার।

তিনি বলেন, সংসদে যেতে পারেননি। এখন, বাইরে আছেন। আমাদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিন।

তিনি বলেন, দুনিয়ার কোথাও জাতির পিতা ও জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে মিথ্যাচার হয় না। অথচ আমাদের দেশে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি স্বাধীনতার ঘোষক, প্রথম রাষ্ট্রপতি নিয়ে মিথ্যাচার করছে।

নাসিম বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে থেকে কোন অন্ধ যদি হিমালয়ের উচ্চতার পরিমাপ করতে না পারে সেটা হিমালয়ের দোষ না। অন্ধের দোষ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তারা যতই মিথ্যাচার করুক, একদিন তারা হারিয়ে যাবে। চন্দ্র-সূর্য যেমন সত্য, বঙ্গবন্ধুও তেমন মহানায়ক সত্য। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন হিমালয়ের সমানই উঁচু হয়ে মানুষের হৃদয়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সদস্যদের জন্য কম মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা চালু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ ইউনিটির সদস্যের জন্য ঢাকা মেডিকেলে কিভাবে কম টাকায় স্বাস্থ্য সেবা চালু করা যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তিনি বলেন, গরীবদের জন্য চিকিৎসা ইন্সুরেন্স চালু করা এবং হেলথ কার্ড করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের গঠনমুলক সমালোচনার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, আমাদের ভুলত্রুটি থাকলে সমালোচনা করুন। ধরিয়ে দিন। ভয় পাই না। কিন্তু সমালোচনার পাশাপাশি ভাল কাজগুলো তুলে ধরলে আমরা উৎসাহ পাই।

ডাক্তারদের গ্রামে থাকতে বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে নাসিম বলেন, ডাক্তাররা যেন গ্রামে থাকে সে জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ডাক্তারদের গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষ প্রণোদনাও দেয়া হবে। তাতেও যদি তারা গ্রামে থাকতে না চায় তাহলে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, আমার দায়িত্বপালন কালে তিনমাসে কোন ডাক্তারকে গ্রাম থেকে বদলি করা হয়নি। কোন তদবির করে কাজ হবে না। চাকরি করতে হলে গ্রামে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনেক কাজ করা যায়। যেগুলোর প্রমাণ আওয়ামী লীগ সরকার দেখিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগড়ায় পৌঁছে দেয়া। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ০৬, ২০১৪)