স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) পর্দা নেমেছে। কিন্তু পাওয়া আর না পাওয়ার গল্প বলতে গিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। সবচেয়ে ‘বড়’ পাওয়ার আশাটা করেছিলেন নির্বাচকরা। তাদেরই একজন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার জানালেন, বিপিএলে আবু হায়দার রনি ছাড়া তেমন কিছুই পাননি তারা।

প্রথম দুই আসরের চেয়ে তৃতীয় আসরে ‘ক্রিকেটীয়’ তেমন কিছুই পাননি বলে উল্লেখ করেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। শীর্ষ একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেন, ‘প্রথম দুই টুর্নামেন্টের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের বিপিএল ছিলো অনেক গোছানো। কিন্তু নির্বাচকদের চোখ থেকে বলবো, আমরা তেমন কিছুই পাইনি। সবাই জানে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমাদের এখনো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। কিন্তু বিপিএলের ব্যাটিং ছিলো হতাশাজনক। এবং আমরা এখনো এমন কিছু পাইনি যা আমাদেরকে সামনের দুটি বড় টুর্নামেন্টের জন্য ভাবাবে।’

হাবিবুল বাশার সুমনে মতে, মাত্র শেষ হওয়া এবারের বিপিএলে একটাই ট্যালেন্ট উপহার দিয়েছে তাদেরকে, তিনি আবু হায়দার রনি। এ প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমি মনে করি রনি অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলো। দেখে খুব ভালো লেগেছে যে সে তার সহজাত বোলিং অস্ত্রকে পুঁজি করে দারুণভাবে ফিরেছে। সে ভালো সুইং করাতে পারে। ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ছিলো। মাঝখানে সাধারণ মাপের বোলারে পরিণত হয়, নৈপুণ্য হারায়। কিন্তু বিপিএলে খুব ভালো বল করেছে এবং নির্বাচকদের চোখে পড়েছে।’

শুধু রনিই নয়, আল-আমিন কিংবা মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বকেও এগিয়ে রাখছেন তিনি। তারপরেও দিনশেষে টুর্নামেন্টটা রনির ছিলো- এমনটাই বলতে চাইলেন, ‘আল-আমিন হোসেন খুব ভালো কামব্যাক করেছে, মোহাম্মদ শহিদ সবাইকেই অবাক করেছে। মাশরাফির ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব আর ভালো বোলিং নজর কেড়েছে সবার। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে বিপিএল ছিলো তরুণ বোলার রনির গল্প,’ যোগ করেন তিনি।

এর আগে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ রনির প্রশংসা করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলের নির্বাচকরা তাকে নিয়ে ভাবছেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বিপিএলে শিরোপাজয়ী দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেন রনি। পুরো টুর্নামেন্ট খেলে সবমিলিয়ে ১২ ম্যাচে ২১ উইকেট তুলে নেন তিনি, যা কিনা বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

(ওএস/পি/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫)